চলে গেলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী ও বর্ষীয়ান রাজনৈতিক নেতা উপেন কিস্কু। বুধবার রাতে বাঁকুড়া শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। সম্প্রতি বাড়িতে পড়ে গিয়ে মাথায় গুরুতর আঘাত পান তিনি। এর পর দ্রুত তাঁকে বাঁকুড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। চিকিৎসা চলাকালীন অবস্থার অবনতি ঘটে। তার পর বুধবার গভীর রাতে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
উপেন কিস্কু ছিলেন আদিবাসী সমাজের অন্যতম পরিচিত মুখ। রাইপুর ব্লকের সার্বিক উন্নয়নে তাঁর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল বলে দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। তাঁর উদ্যোগে ওই এলাকায় একাধিক কলেজ ও স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয়। পাশাপাশি, আদিবাসী সমাজের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পরিকাঠামো উন্নয়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নে তিনি সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। সাধারণ মানুষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ এবং উন্নয়নমূলক রাজনীতির জন্য তিনি বিশেষ ভাবে পরিচিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:
তাঁর প্রয়াণে রাজনৈতিক মহল ছাড়াও সমাজের সর্ব স্তরে গভীর শোকের আবহ তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শোকবার্তা জানানো হয়েছে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার বাঁকুড়ায় উপেন কিস্কুর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। প্রবীণ এই নেতার প্রয়াণে রাজ্য রাজনীতিতে এক শূন্যতা তৈরি হল বলে মত রাজনৈতিক মহলের।
প্রসঙ্গত, রাইপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে সাত বার সিপিএমের প্রতীকে জয়ী হয়েছিলেন তিনি। ১৯৮২ সালের প্রথম বার ওই আসন থেকে জয় পেয়েছিলেন এই বামপন্থী নেতা। ঘটনাচক্রে, উপেন ছিলেন এমনই একজন মন্ত্রী যিনি বামফ্রন্টের দুই মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু ও বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সঙ্গে মন্ত্রী হিসাবে কাজ করেছিলেন। উল্লেখ্য, ২০১১ সালের বামফ্রন্ট সরকারের পতনের সময় বামেদের যে ৬২ জন বিধায়ক জয়ী হয়েছিলেন, তাদের একজন ছিলেন উপেন।