মাল নদীতে চলছে উদ্ধারকাজ। —নিজস্ব চিত্র।
দশমীর রাতে বিসর্জনের বিপর্যয়ের পর প্রায় গোটা দিন পেরিয়ে গেলেও চলছে উদ্ধারকাজ। এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর্যন্ত নতুন করে কোনও দেহ মেলেনি। তবে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১৩ জন আহত। তাঁদের হাতে রাজ্য সরকারের ক্ষতিপূরণের ৫০ হাজার টাকা করে তুলে দেওয়া হয়েছে। আট জন মৃতের পরিবারপিছু ২ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্যও দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার মালবাজার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে আহতদের দেখতে যান উদয়ন গুহ, বুলুচিক বরাইকের মতো রাজ্যের দুই মন্ত্রী, শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব, জলপাইগুড়ির জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা এবং জেলার পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত। আহতদের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন দুই মন্ত্রী-সহ পুলিশপ্রশাসনের প্রতিনিধিরা। প্রাক্তন মন্ত্রী তথা শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব বলেন, ‘‘আমি পাশেই থাকি। (দুর্ঘটনার পর) গত কাল রাত থেকে যোগাযোগ রাখছিলাম। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী চান, এই ধরনের ঘটনায় সকলে পাশে থেকে লড়াই করি। আহতদের দেখতে হাসপাতালে এসেছি। যাঁরা মারা গিয়েছেন, তাঁদের পরিবার-পরিজনকে সরকার থেকে সাহায্য করা হচ্ছে।’’
দশমীর রাতে মাল নদীতে হড়পা বানের জেরে ভেসে গিয়েছেন প্রতিমা নিরঞ্জন দেখতে আসা বহু মানুষ। তাঁদের খোঁজে চলছে তল্লাশি। জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বলেন, ‘‘এখনও উদ্ধারকাজ চলছে। তবে গত কালের পর থেকে কাউকে উদ্ধার হয়নি বা কারও দেহ মেলেনি। কোনও মিসিং ডায়েরি করা হয়েছে কি না তা নিয়ে আমরা পুলিশের কাছ থেকে আধ ঘণ্টা অন্তর খোঁজখবর নিচ্ছি। আমরা হাসপাতালে যে এসেছি সেখানে ১৩ জন আহত রয়েছেন। তবে তাঁদের অবস্থা স্থিতিশীল। আমরা ১৩ জন আহতের হাতে ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণের চেক তুলে দিয়েছি। মৃতদের শেষকৃত্যের পর তাঁদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে দেওয়ার বন্দোবস্ত করা হবে।’’
অন্য দিকে, এই দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে সমাজমাধ্যমে নানা ধরনের ভুল পোষ্ট হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এক নেটব্যবহারকারী পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে লিখেছিলেন যে ‘‘পুলিশ রাতারাতি মৃতদেহ সরিয়ে দিচ্ছে।’’ সেই ব্যাক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। জেলার পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত বলেন, ‘‘ওটা ভুয়ো পোস্ট। জলপাইগুড়ির এক বাসিন্দাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। তিনি ভুল স্বীকার করেছেন। তিনি জানিয়েছেন যে, লোকের মুখের কথা শুনে সে সব লিখেছিলেন৷’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy