Advertisement
E-Paper

রামধনু জোট ঠেকাতে হবে, যুব সম্মেলনে বার্তা শুভেন্দুর

পুরভোটে ইঙ্গিত মিলেছে। তাই আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচনেও বিরেধীদের রামধনু জোটের সম্ভাবনা দেখছে শাসক তৃণমূল। রবিবার পশ্চিম মেদিনীপুর যুব তৃণমূলের জেলা সম্মেলন উপলক্ষে চন্দ্রোকোনা রোডে আয়োজিত সভায় সেই রামধনু জোট ঠেকানোর বার্তা গেলেন সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর কথায়, ‘‘আমাদের আশঙ্কা, পুরভোটের মতো বিধানসভা ভোটেও বাম-কংগ্রেস-বিজেপি হাতে হাত ধরে রামধনু জোট গড়বে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ জুন ২০১৫ ০০:৩১
চন্দ্রকোনা রোডের সভায় বক্তা তমলুকের সাংসদ।ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল।

চন্দ্রকোনা রোডের সভায় বক্তা তমলুকের সাংসদ।ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল।

পুরভোটে ইঙ্গিত মিলেছে। তাই আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচনেও বিরেধীদের রামধনু জোটের সম্ভাবনা দেখছে শাসক তৃণমূল। রবিবার পশ্চিম মেদিনীপুর যুব তৃণমূলের জেলা সম্মেলন উপলক্ষে চন্দ্রোকোনা রোডে আয়োজিত সভায় সেই রামধনু জোট ঠেকানোর বার্তা গেলেন সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর কথায়, ‘‘আমাদের আশঙ্কা, পুরভোটের মতো বিধানসভা ভোটেও বাম-কংগ্রেস-বিজেপি হাতে হাত ধরে রামধনু জোট গড়বে। কিন্তু আমরা যদি এখন থেকেই প্রস্তুত হই, তবে জেলার ১৯টি বিধানসভা কেন্দ্রেই তৃণমূল প্রার্থীরা জয়যুক্ত হবেন।’’ এ জন্য দলীয় কর্মীদের আরও নিবিড় জনসংযোগ রক্ষার পরামর্শ দেন তৃণমূল সাংসদ।

শনি-রবি দু’দিন ধরে চন্দ্রকোনা রোডের বিদ্যাসাগর হলে যুব তৃণমূলের জেলা সম্মেলন হয়। রবিবার তারই সমাপ্তিতে স্থানীয় সবুজ সঙ্ঘের মাঠে প্রকাশ্য সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সভায় আসার কথা ছিল তৃণমূলের যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তবে অসুস্থতার জন্য তিনি আসেননি। শুভেন্দু বক্তব্যের শেষে বলেন, ‘‘আমার ভ্রাতৃপ্রতিম অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অসুস্থতার জন্য আসতে পারেননি। তবে চিঠি পাঠিয়েছেন।’’ মঞ্চে সেই চিঠি পাঠ করে শোনান যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি শ্রীকান্ত মাহাতো। চিঠিতে অভিষেক লিখেছেন, ‘শারীরিক অসুস্থতার জন্য যেতে পারলাম না। তবে সাংসদ দাদা শুভেন্দু অধিকারী গিয়েছেন। আমিও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দলীয় পর্যবেক্ষক হিসেবে সব সময় পাশে রয়েছি। সভায় দলের প্রবীণ নেতাদের পরামর্শ শুনবেন। আমি পরে যাব।’’ পরে অভিষেক জানিয়েছেন, কাঁধের সমস্যায় আপাতত তিনি বাড়ির বাইরে বেরোতে পারছেন না। চিকিৎসকেরা তাঁকে বিশ্রাম নিতে বলেছেন। সে জন্যই তিনি চন্দ্রকোনা রোডের সভায় যেতে পারেননি।

শুভেন্দু এ দিন রামধনু জোট ঠেকানোর বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের আমলে রাজ্য জুড়ে উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরেন। একই সঙ্গে শুভেন্দু জানান, মুর্শিদাবাদ-সহ একাধিক অন্য জেলার দায়িত্ব তাঁর কাঁধে রয়েছে। তা-ও প্রযোজন মতো পশ্চিম মেদিনীপুরকে সময় দেবেন তিনি। এ দিনের সভায় হাজার দশেক লোক হয়েছিল। তবে বৃষ্টিতে সভার কিছুটা ছন্দপতন হয়। যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি শ্রীকান্ত দাবি করেন, বৃষ্টির জন্য অনেক এলাকা থেকে কর্মী-সমর্থকদের গাড়ি আসতে পারেনি। না হলে হাজার পঞ্চাশেকের জমায়েত হত।

যুব তৃণমূলের এই জেলা সম্মেলনে আড়াই হাজারের বেশি নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন। দু’দিন ধরে চলে প্রশিক্ষণ শিবির। আগামী বিধানসভা ভোটে কী করতে হবে, মূলত সে কথাই জানানো হয় শিবিরে। সংগঠনের জেলা সভাপতি তথা শালবনির বিধায়ক শ্রীকান্ত বলেন, ‘‘দলের প্রশিক্ষক, রাজ্য ও জেলা স্তরের নেতারা কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। সাংগাঠনিক নানা বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।’’ সম্মেলনে ২১ জুলাইয়ের সমাবেশ নিয়েও আলোচনা হয়। আলোচনা পর্বে দলের কোন্দল চাপা থাকেনি। তৃণমূল সূত্রের খবর, শনিবার রাতে যুব সংগঠনের সদস্যদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ-বিক্ষোভ দেখা দেয়। জেলা সভাপতি শ্রীকান্তর বিরোধী শিবিরের নেতারা ক্ষোভ উগরে দেন। তবে এ বারও যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি হয়েছেন শ্রীকান্ত। সুদীপ মণ্ডল-সহ চার জন সহ-সভাপতি অবশ্য বাদ পড়েছেন।

suvendu adhikari rainbow alliance chandrakona road tmc youth conference
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy