বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে নিন্দাপ্রস্তাব পাশ হল রাজ্য বিধানসভায়। শুভেন্দু বর্তমানে বিধানসভা থেকে সাসপেন্ড (নিলম্বিত) রয়েছেন। সম্প্রতি বিধানসভার বাইরে তিনি কিছু মন্তব্য করেন, যা ঘিরে বিতর্ক দানা বাঁধে। তাঁর ওই মন্তব্যের বিরোধিতায় বৃহস্পতিবার বিধানসভায় নিন্দাপ্রস্তাব আনেন তৃণমূল কংগ্রেসের পরিষদীয় দলের মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ। ওই সময়ে বিজেপি বিধায়কেরা অধিবেশনকক্ষে ছিলেন না। ওই নিন্দাপ্রস্তাব নিয়ে বিধানসভায় আলোচনা হয় এবং শেষে ধ্বনিভোটের মাধ্যমে প্রস্তাবটি পাশ হয়।
নিন্দাপ্রস্তাবে তৃণমূল জানায়, শুভেন্দু যে মন্তব্য করেছেন, তা বিরোধী দলনেতার সাংবিধানিক পদের মর্যাদাকে ক্ষুণ্ণ করে। ওই ধরনের মন্তব্য সংবিধানের মূল ভাবনার সঙ্গেও সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় বলে জানায় শাসকদল। এই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার সময়ে তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের প্রসঙ্গও উঠে আসে। শুভেন্দুর মন্তব্যের প্রেক্ষিতে পাল্টা আক্রমণের সময়ে হুমায়ুনের কিছু মন্তব্য ঘিরেও বিতর্ক ছড়ায়। তা নিয়েও বৃহস্পতিবার প্রশ্ন ওঠে বিধানসভায় আলোচনার সময়ে। তখন শাসকদলের পরিষদীয় দলের মুখ্যসচেতক জানান, হুমায়ুনের বক্তব্যের ভিডিয়ো ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সেই অনুসারে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
পরে জানা যায়, হুমায়ুনকে শো কজ় করেছে তৃণমূল। সাম্প্রতিক কিছু মন্তব্যের জেরে তাঁকে কারণ দর্শাতে বলেছে শাসকদলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি।
আরও পড়ুন:
বস্তুত, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি বিধানসভা থেকে নিলম্বিত হন শুভেন্দু। শুভেন্দু-সহ চার বিধায়কের বিরুদ্ধে ৩০ দিনের জন্য এই পদক্ষেপ করেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। এরই মধ্যে গত ১১ মার্চ বিধানসভার বাইরে কিছু মন্তব্য করেন তিনি। তৃণমূলের নিন্দাপ্রস্তাবে ওই মন্তব্যের কড়া নিন্দা জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে সংবিধান অনুসারে মানুষের মৌলিক অধিকার রক্ষার কথাও জানিয়েছে শাসক শিবির।