এত দিন যা ছিল ঠারেঠোরে, এ বারে তা-ই চলে এল প্রকাশ্যে! দলের পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম ও তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে তোপ দেগে সিপিএমের সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করলেন, বিচারের নামে প্রহসন হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘বিচারের আগেই ফাঁসি দিয়ে দেওয়া হয়েছে!’’ যে ভাবে তিনি দলীয় বিষয়ে বাইরে মুখ খুলেছেন, তাতে ঋতব্রতকে বহিষ্কার আসন্ন বলেই মনে করছে সিপিএমের বড় অংশ। প্রশ্ন উঠেছে, দলে কোণঠাসা হয়ে তরুণ সাংসদ কি তা হলে নিজেই তাঁর বহিষ্কারের রাস্তা পরিষ্কার করতে এগিয়ে গেলেন?
এবিপি আনন্দে একটি সাক্ষাৎকারে সোমবার ঋতব্রত বলেছেন, দিনের পর দিন দলের একাংশ সোশ্যাল মিডিয়া ও অন্যত্র তাঁর বিরুদ্ধে কুৎসা চালিয়ে গিয়েছেন। তাঁরা দলের কর্মী হওয়া সত্ত্বেও দল কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। তদন্ত কমিশনেও তাঁর বক্তব্যকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। তাই প্রকাশ্যে আত্মপক্ষ সমর্থনে তিনি বাধ্য হচ্ছেন বলে ঋতব্রতের যুক্তি। টিভি চ্যানেলে তিনি সরাসরিই বলেছেন, কমিশনের চেয়ারম্যান সেলিমের উপরে তিনি কোনও বিশ্বাসই রাখতে পারছেন না। এমনকী, সংখ্যালঘু মুখ হিসাবে ‘কোটা’র জেরে সেলিম পলিটব্যুরোয় ঠাঁই পেয়েছেন বলেও তাঁর ইঙ্গিত! যা শুনে সেলিমের প্রতিক্রিয়া, ‘‘বিজেপি-আরএসএসের লোকজন যে ভাবে আমাদের সম্পর্কে বলে, এটাও সেই রকম ভাবনা। কোনও কমিউনিস্ট কর্মীর কাছে এমন প্রশ্ন আশা করা যায় না।’’ কমিশনের কাজে কোনও ‘ব্যক্তিগত আক্রোশ’ কাজ করেনি বলেও সেলিমের দাবি।
আরও পড়ুন: সিবিআই জেরায় মুকুল, শুভেন্দুর হাজিরা ইডি-তে
বাংলার স্বার্থ না দেখার দায়ে ঋতব্রত দুষেছেন প্রকাশ-বৃন্দা কারাটদেরও। খাতায়-কলমে ঋতব্রতের তিন মাসের সাসপেনশন শেষ হয়ে গিয়েছে। রাজ্য কমিটি থেকে অবনমনের সুপারিশও কেন্দ্রীয় কমিটির অনুমোদনের অপেক্ষায়। এই অবস্থায় সিপিএম চূড়ান্ত পদক্ষেপ করে ফেলে কি না, কৌতূহল এখন তা নিয়েই।