উৎসবের মেজাজের সঙ্গে তাল মিলিয়ে খাবারের স্বাদ বদলাচ্ছে রেল।
গোটা বছর জুড়ে ট্রেনের খাবার নিয়ে বিস্তর অভিযোগ ওঠে। পুজোর ক’টা দিন তাই দোষ কাটাতে মাঠে নামছে ইন্ডিয়ান রেলওয়ে কেটারিং অ্যান্ড ট্যুরিজম কর্পোরেশন (আইআরসিটিসি)। এই ক’দিন রাজধানী, দুরন্ত ও শতাব্দী এক্সপ্রেসের মেনুতে জায়গা করে নিয়েছে চিকেন রেজালা, মুর্গ কোর্মা, সুলতানা পোলাও, শাহি পনির কোর্মার মতো নবাবি খানা।
সংস্থার কর্তারা জানিয়েছেন, অনেক ভেবে বাঙালি মেনুতে নবাবি ছোঁয়া আনা হয়েছে। পদগুলো অনেকেরই পরিচিত। তবে কিছু মশলা এবং পদ্ধতি পরিবর্তন করে নতুন স্বাদ আনা হচ্ছে। পাশাপাশি, নতুন রান্নার গুণগত মানও বজায় রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। আইআরসিটিসি-র পূর্বাঞ্চলের গ্রুপ জেনারেল ম্যানেজার দেবাশিস চন্দ্র বলেন, ‘‘এ বছর প্রথম পুজোর সময়ে খাবারের মেনুতে পরিবর্তন করা হচ্ছে। হাওড়া থেকে ছাড়া ওই তিনটি ট্রেনে এই নতুন মেনু অনুযায়ী খাবার পরিবেশন করা হবে।’’ যাত্রীদের মেনু পছন্দ হলে, অন্যান্য ট্রেনেও ভবিষ্যতে নয়া মেনু চালু করা হবে বলে সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
পুজোর মেনু
সপ্তমী
• মুর্গ কোর্মা • শাহি পনির কোর্মা • কড়াইশুঁটি দিয়ে ঘন মুগের ডাল • সুলতানা পোলাও • আইসক্রিম
অষ্টমী
• চিকেন রেজালা • পনির রেজালা • ডাল মাখানি • গ্রিন পোলাও • আইসক্রিম
নবমী
• চিকেন দো-পিঁয়াজা • মটর পনির • পাঁচমেশালি ডাল
• কড়াইশুঁটির পোলাও • আইসক্রিম
দশমী
• মাখন মুর্গ • মাখন পনির • নারকেল দিয়ে ঘন ছোলার ডাল
• ঘি-ভাত • গুলাব জামুন • আইসক্রিম
প্রতিদিন আলাদা আলাদা আইসক্রিম থাকবে
খাবারের স্বাদ, গন্ধ এবং মান নিয়ে ট্রেন যাত্রীদের অভিযোগের অন্ত নেই। দীর্ঘদিন ধরেই এই সমস্যা নিয়ে জেরবার রেল। এ বার যুক্ত হয়েছে, খাবারের অতিরিক্ত দাম। নতুন রেলমন্ত্রী ও বোর্ডের চেয়ারম্যান যোগদান করেই একটি নির্দেশিকা জারি করেছেন। তাতে স্পষ্ট বলা হয়েছে, মেনুর নির্ধারিত দামের বাইরে যাত্রীদের থেকে এক পয়সাও বেশি নেওয়া যাবে না। যাত্রীদের থেকে ‘টিপস’ নেওয়াও বন্ধ করতে হবে।
আরও পড়ুন:খাদিম কর্তা মামলা নিয়ে সংশয়ে কোর্ট
আইআরসিটিসি-র কর্তারা জানিয়েছেন, অনেক ট্রেনেই এখনও রেলের তরফে আলাদা করে বিভিন্ন রকম খাবার বিক্রির অনুমতি দেওয়া রয়েছে। একই ট্রেনে বিভিন্ন খাবার পরিবেশন করতে দেওয়া বন্ধ না করলে অতিরিক্ত দাম নেওয়া ঠেকানো অসম্ভব। বাইরের অনেক কেটারিং সংস্থার লোকজন ট্রেনের ভিতরে খাবার বিক্রি করে চলে যাচ্ছেন। সেখানে তাঁদের খাবার কোনটা, আর রেলের অনুমোদিত কেটারিং সংস্থার খাবার কোনটা, যাত্রীরা বুঝে উঠতে পারছে না। সেখানেই বিপত্তি।
তবে ট্রেনে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। দাম বেশি নেওয়ার অভিযোগ পেলেই সংশ্লিষ্ট খাবার সরবরাহকারী কর্মীকে ধরার চেষ্টা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy