Advertisement
E-Paper

মৌসুমী, টুম্পার জন্য নিরাপত্তার আর্জি রূপার

কামদুনি-কাণ্ডে প্রতিবাদের দুই মুখ মৌসুমী কয়াল এবং টুম্পা কয়ালের জন্য রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর কাছে ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীর ব্যবস্থা করার আর্জি জানিয়েছেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০৪:২২

কামদুনি-কাণ্ডে প্রতিবাদের দুই মুখ মৌসুমী কয়াল এবং টুম্পা কয়ালের জন্য রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর কাছে ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীর ব্যবস্থা করার আর্জি জানিয়েছেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। কামদুনি মামলায় দোষীদের সাজা ঘোষণা হলেও বেকসুর খালাস পেয়েছে দুই অভিযুক্ত। ফলে মৌসুমী এবং টুম্পা মোটেই নিরাপদে নেই। এই যুক্তিতেই রাজ্যপালের কাছে বিজেপি-র মহিলা মোর্চার ওই আর্জি।

রাজ্যে ক্রমবর্ধমান নারী নিগ্রহ এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির প্রতিবাদে আগামিকাল, বুধবার কামদুনি থেকে পদযাত্রা শুরু করবে বিজেপি-র মহিলা মোর্চা। ১২ ফেব্রুয়ারি যাত্রা শেষ হবে কাকদ্বীপে। কামদুনিতে যাত্রায় অংশগ্রহণ করার জন্য মৌসুমী, টুম্পাদেরও অনুরোধ করেছে বিজেপি-র মহিলা মোর্চা। রূপা বলেন, ‘‘ওঁদের সঙ্গে আমার কথা হয়। কিন্তু এই কর্মসূচির বিষয়ে আমি ওঁদের কিছু বলিনি। শমীক ভট্টাচার্য, লকেট চট্টোপাধ্যায় দলের তরফে ওঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন। এই কর্মসূচির কথা তাঁরাই ওঁদের বলবেন।’’

রাজ্য বিজেপি-র সহ সভাপতি তথা দলের তরফে ওই যাত্রার দায়িত্বপ্রাপ্ত রাজকমল পাঠক জানান, কামদুনিতে যাত্রা শুরুর সময় জমায়েতে পুলিশ আপত্তি করেছে। শুক্রবার পার্ক স্ট্রিট, হরিশ মুখার্জি রোড, আশুতোষ মুখার্জি রোড দিয়ে পদযাত্রা করাতেও পুলিশের আপত্তি আছে। কারণ ওই এলাকা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির আশপাশে। এই প্রেক্ষিতে রাজকমলবাবু বলেন, ‘‘পুলিশ অনুমতি না দিলেও কামদুনি থেকে হাঁটা শুরু হবে। তবে শুক্রবারের যাত্রাপথ নিয়ে পুলিশের আপত্তি হয়তো আমাদের মেনেই নিতে হবে। যদিও এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে মোর্চার বৈঠকে।’’

রূপা জানান, মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী এবং সাধারণ মানুষের অসুবিধার কথা ভেবে প্রতি দিনই দুপুর ১২টায় পরীক্ষা শুরু হয়ে যাওয়ার পরে তাঁরা যাত্রা শুরু করবেন। আর ৩ টে থেকে পৌনে ৪টে পর্যন্ত যাত্রা বন্ধ রাখবেন, পরীক্ষার্থীরা যাতে নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরতে পারে। রূপার আহ্বান, ‘‘দল, মত নির্বিশেষে রাজ্যের সব মহিলা এই যাত্রায় যোগ দিন। ১০ মিনিট পারলে, তা-ই হাঁটুন। কেউ হুইল চেয়ারে আসতে চাইলে, তাঁকেও আমরা বাড়ি থেকে এনে চেয়ার ঠেলে নিয়ে যাব এবং বাড়ি পৌঁছে দেব।’’

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy