রাজ্য বিজেপি-তে নিজেদের প্রভাব আরও বাড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু করল আরএসএস। পুরভোটে বিপর্যয়ের পরে তড়িঘড়ি রাজ্য কমিটির বিভিন্ন শাখার পুনর্গঠন করা হল। মিডিয়া-সহ বিভিন্ন শাখায় গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়ে আসা হয়েছে সঙ্ঘ-ঘনিষ্ঠ মুখ। যদিও রাজ্য বিজেপি-র তরফে বলা হচ্ছে, শুধু এ রাজ্যে নয়, সারা দেশেই বিভিন্ন শাখা পুনর্গঠনের কাজ শুরু হয়েছে। পুনর্গঠন করা হবে দলের বিভিন্ন মোর্চাও।
এত দিন দলের মিডিয়া শাখার আহ্বায়ক ছিলেন রীতেশ তিওয়ারি। এখন ওই শাখার আহ্বায়ক করা হয়েছে কৃশানু মিত্রকে। রীতেশকে করা হয়েছে ওই শাখার পর্যবেক্ষক। কার্যত, মিডিয়া সামলাবেন কৃশানুই। সঙ্ঘের মিডিয়া শাখাতেই আগে দায়িত্ব পালন করে এসেছেন তিনি। এ রাজ্যে সঙ্ঘের দু’টি পত্রিকার কার্যকরী কমিটিতেও কৃশানু রয়েছেন। বিজেপি-র মিডিয়া শাখার মাথায় সঙ্ঘের চাপেই কৃশানুকে নিয়ে আসা হয়েছে বিজেপি-র একটি সূত্রের ব্যাখ্যা। পরিবর্তনের পরে কার্যত কৃশানুই এখন ঠিক করবেন, কোন টিভি চ্যানেলে দলের কোন নেতা কোন বিষয়ে আলোচনা করতে যাবেন। তাঁর কথায়, ‘‘কাউকে ডাকলেই তিনি যেতে পারবেন না কোনও চ্যানেলে। সেটা আলোচনার বিষয়বস্তু জানার পরে মিডিয়া সেল ঠিক করবে।’’
মিডিয়ার পাশাপাশি আরও ডজনখানেক শাখায় নিয়ে আসা হয়েছে নতুন মুখ। এ ক্ষেত্রেও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে সঙ্ঘের প্রতিনিধি বা সঙ্ঘ-ঘনিষ্ঠদেরই। জেলা কার্যালয় তৈরির জন্য যে কমিটি গঠন করা হয়েছে, সেখানেও আহ্বায়ক এবং সহ-আহ্বায়ক করা হয়েছে সঙ্ঘের প্রতিনিধিদের। ই-লাইব্রেরির দায়িত্বে আনা হয়েছে সঙ্ঘের প্রতিনিধিকেই। প্রশিক্ষণ শাখার মাথায় অসীম সরকারকে রাখা হলেও তাঁর সঙ্গে রাখা হয়েছে সুব্রত চট্টোপাধ্যায়কে। যিনি সঙ্ঘেরই লোক। বিজেপি-র একাংশের মতে, জাতীয় স্তরে দল ক্ষমতায় থাকার সময় সঙ্ঘ বরাবরই প্রতাপ বাড়ানোর চেষ্টা করে। তবে এ রাজ্যে বিজেপি-র সংগঠনের যা অবস্থা, তাতে সঙ্ঘের নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ দলের অন্দরের টানাপড়েন আরও বাড়িয়ে তুলবে বলেই দলীয় সূত্রের খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy