চার দিন নিখোঁজ থাকার পর উত্তর ২৪ পরগনার এক শিক্ষকের দেহ উদ্ধার হল মুর্শিদাবাদের ফরাক্কা ব্যারেজে। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম শানু মণ্ডল। মালদহের কালিয়াচকে একটি স্কুলে শিক্ষকতা করতেন তিনি। গত রবিবার বোলপুরের একটি স্কুলে ইন্টারভিউ দিতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে বেরিয়ে একবার বাড়ির লোকজনের সঙ্গে ফোনে কথাও হয় তাঁর। কিন্তু তার পর থেকে আর খোঁজ মেলেনি খড়দহের বাসিন্দা বছর পঁচিশের ওই যুবকের। শুক্রবার ফরাক্কা ব্যারেজে তাঁর দেহ পাওয়া গিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের গলায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। পরিবারে অভিযোগ, খুন করা হয়েছে স্কুলশিক্ষককে। তবে নির্দিষ্ট করে সন্দেহজনক কারও নাম বলতে পারেনি তারা। অভিযোগ, যে স্কুলে শানু শিক্ষকতা করতেন, সেই কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কোনও একটি বিষয়ে মতপার্থক্য হয়েছিল তাঁর। তাই অন্যত্র চাকরি খুঁজছিলেন শিক্ষক। কিন্তু সে জন্য কি খুন করা হতে পারে? পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত চলছে।
খড়দহের জ্যোতি কলোনি এলাকায় শানুর বাড়ি। মৃতের পরিবার জানিয়েছে, রবিবার বোলপুরের একটি স্কুলে ইন্টারভিউ দিতে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছিলেন শানু। কিন্তু সে দিনের পর থেকে আর খোঁজ মেলেনি তাঁর। পরিবারের লোকজন চিন্তিত হয়ে কালিয়াচক থানায় খোঁজ নেন। কিন্তু ছেলের সন্ধান পাননি। থানায় অভিযোগ জানাতে গিয়েছিল পরিবার। কিন্তু পুলিশ নিখোঁজ ডায়েরি নিতে চায়নি বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন:
ঘটনাক্রমে শুক্রবার দুপুরে ফরাক্কা ব্যারেজের কাছে একটি দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। খবর পেয়ে দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। চিহ্নিত করা হয় দেহ। খবর দেওয়া হয় শানুর পরিবারের কাছে। ছেলের মৃত্যুসংবাদ পেয়ে কান্নার রোল পড়ে বাড়িতে। শানুর কাকিমা বেরা মণ্ডলের অভিযোগ, ‘‘আমাদের ছেলেকে পরিকল্পিত ভাবে খুন করা হয়েছে। কে বা কারা খুনের সঙ্গে যুক্ত তদন্ত করে দেখুক পুলিশ।’’ শানুর এক কাকা বলেন, ‘‘কালিয়াচকে ও একাই থাকত। কিন্তু কোনও সমস্যা হচ্ছে বা ওর সঙ্গে কারও শত্রুতা রয়েছে, এমনটা তো শুনিনি। রবিবার বোলপুরে একটি স্কুলে ইন্টারভিউ দিতে যাবে বলে তৈরি হচ্ছিল। তার পর কী যে হল...।’’ তবে তাঁর দাবি, ‘‘ও আত্মহত্যা করার মতো ছেলে নয়। দুর্ঘটনারও খবর পাওয়া যায়নি। ওকে কেউ খুনই করেছে।’’