নয়াদিল্লি, বিশাখাপত্তনম, রাঁচি, ধানবাদ, ভুবনেশ্বর এবং ভোপালের সিবিআই দফতর থেকে এই আধিকারিকদের কলকাতায় পাঠানো হচ্ছে। ফাইল চিত্র ।
দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে কলকাতার সিবিআই দফতরে পাঠানো হচ্ছে সাত জন সিবিআই আধিকারিককে। শীঘ্রই এই সাত আধিকারিককে নিজাম প্যালেসের দুর্নীতি দমন শাখায় যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে এক জন এসপি, তিন জন ডিএসপি, দু’জন ইন্সপেক্টর, এক জন সাব-ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার আধিকারিক রয়েছেন। নয়াদিল্লি, বিশাখাপত্তনম, রাঁচি, ধানবাদ, ভুবনেশ্বর এবং ভোপালের সিবিআই দফতর থেকে তাঁদের কলকাতায় পাঠানো হচ্ছে। সিবিআই সূত্রে খবর, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গতি আনতেই এই সাত আধিকারিককে তড়িঘড়ি নিজাম প্যালেসে পাঠানো হচ্ছে। ৩০মে পর্যন্ত অর্থাৎ আগামী দু’মাসের জন্য এই সাত আধিকারিককে কলকাতার সিবিআই দফতরে থেকে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত বছরের জুলাই মাস থেকে ধীরে ধীরে প্রকাশ্যে এসেছে রাজ্যের নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ড। তদন্তে নেমে এই মামলার জট খুলতে শুরু করেছেন কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা ইডি-সিবিআই আধিকারিকেরা। এই মামলায় উঠে এসেছে একের পর এক নতুন নাম, প্রভাবশালী তত্ত্ব। নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে যুক্ত থাকার অভিযোগে ইতিমধ্যেই রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য-সহ অনেকে গ্রেফতার হয়েছেন।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানি চলাকালীন আদালতে বার বার কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তদন্তের গতি বাড়ানোর কথা বলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সমালোচনা করেছেন বিচারপতিরাও।
পাশাপাশি সিবিআই সূত্রে খবর, নিজাম প্যালেস থেকে নয়াদিল্লিতে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছিল। সেই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছিল, নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের তদন্তে আরও অনেক সাক্ষ্যপ্রমাণ উঠে আসছে। উঠে আসছে আরও নতুন নতুন নাম। আর সেই কারণেই তদন্তের সুবিধার্থে আরও আধিকারিকদের কলকাতায় পাঠানোর আবেদন জানানো হয়েছিল নিজাম প্যালেসের তরফে। আর সেই কারণেই তদন্তে গতি আনতে তড়িঘড়ি এই সাত আধিকারিককে অন্য রাজ্যের সিবিআই দফতর থেকে নিজাম প্যালেসে পাঠানো হচ্ছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy