এ বার মেদিনীপুরে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লোধা-শবরদের উন্নয়নে বিশেষ জোর দিয়ে গিয়েছেন। তবে বাস্তব হল, পিছিয়ে পড়া এই সম্প্রদায়ের শিক্ষিত যুবক-যুবতীরাও চাকরি পাচ্ছেন না। ফলে, উত্তরণের পথে এগিয়েও থমকে যেতে হচ্ছে তাঁদের। বাড়ছে ক্ষোভ।
শিক্ষার আলো তাদের সম্প্রদায়ে পৌঁছয়নি সে ভাবে। সমাজের মূল স্রোত থেকে এখনও অনেকটাই পিছিয়ে লোধা-শবররা। তবে আঁধার ঘুচিয়ে এগিয়েও এসেছেন অনেকে। অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলার প্রায় ২৯জন যুবক-যুবতীর কেউ স্নাতক, কেউ স্নাতকোত্তর, কেউ আবার বিশেষ শিক্ষায় শিক্ষিত। তবে বয়েস পেরিয়ে যাওয়ার মুখেও চাকরি মেলেনি। ফলে তাঁদের ফিরতে হচ্ছে পরম্পরার পেশায়। ওই শিক্ষিত লোধা-শবর যুবক-যুবতীদের বক্তব্য, চাকরি না জোটায় সমাজ কথা শোনাচ্ছে।আর বর্তমান প্রজন্ম শিক্ষা থেকে মুখ ফেরাচ্ছে।
অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলা লোধা-শবর কল্যাণ সমিতি ইতিমধ্যেই সম্প্রদায়ের কতজন শিক্ষিত হয়েছেন তার তালিকা করেছে। সেই তালিকা জেলাশাসকের দফতরে দেওয়া হয়েছে। গত ১৭ মে মেদিনীপুরে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভায় জেলা লোধা-শবর কল্যাণ সমিতির সম্পাদক বলাইচন্দ্র নায়েক তাঁদের সম্প্রদায়ের শিক্ষিত যুবক-যুবতীদের দুরবস্থার কথা মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছিলেন। বলাই বলছেন, ‘‘লোধা সম্প্রদায় পড়াশোনায় পিছিয়ে। যারা এগিয়েছে তারা চাকরি না পেয়ে হতাশ হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীকে বিষয়টি বিবেচনার জন্য জানিয়েছি।’’ পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক রশ্মি কমলের বক্তব্য, ‘‘চাকরির জন্য আবেদন করতে হবে। প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে হবে। ওদের তো সংরক্ষণের ব্যবস্থা আছে। এরপরেও যদি প্রয়োজন হয় দরকার বুঝে নিয়ে বিশেষ কোনও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা যায় কিনা দেখা হচ্ছে।’’