Advertisement
E-Paper

প্রবেশিকা বিতর্কে সরব এ বার শঙ্খেরাও

জট কাটাতে আজ, বুধবার কর্মসমিতির বৈঠক ডাকা হয়েছে। প্রবেশিকায় বাইরের হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করেছেন শঙ্খ ঘোষ-সহ ১২ শিক্ষাবিদ। কর্তৃপক্ষকে এ দিন স্মারকলিপি দেন তাঁরা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ জুলাই ২০১৮ ০৪:৪৮
বেশিকায় বাইরের হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করেছেন শঙ্খ ঘোষ, নবনীতা দেবসেন-সহ ১২ শিক্ষাবিদ।

বেশিকায় বাইরের হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করেছেন শঙ্খ ঘোষ, নবনীতা দেবসেন-সহ ১২ শিক্ষাবিদ।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কলা বিভাগের ছ’টি বিষয়ের ভর্তি-পরীক্ষা নিয়ে জটিলতা কাটার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। ভর্তি কমিটির মঙ্গলবারের বৈঠক নিষ্ফলা। জট কাটাতে আজ, বুধবার কর্মসমিতির বৈঠক ডাকা হয়েছে। প্রবেশিকায় বাইরের হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করেছেন শঙ্খ ঘোষ-সহ ১২ শিক্ষাবিদ। কর্তৃপক্ষকে এ দিন স্মারকলিপি দেন তাঁরা।

শঙ্খবাবু ছাড়াও স্মারকলিপিতে সই করেছেন নবনীতা দেবসেন, সুকান্ত চৌধুরী, সুপ্রিয়া চৌধুরী, অশোকনাথ বসু, অশোকরঞ্জন ঠাকুর, সিদ্ধার্থ দত্ত, তপনকুমার ঘোষাল, শুভা চক্রবর্তী দাশগুপ্ত, আনন্দদেব মুখোপাধ্যায়, সৌরীন ভট্টাচার্য ও তপনকুমার ঘোষাল। সুকান্তবাবু, সুপ্রিয়াদেবী ও অমিতাদেবী ভর্তি কমিটির বৈঠকে স্মারকলিপি জমা দেন। স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, ‘কোনও পাঠ্যক্রমের ছাত্র বা সম্ভাব্য ছাত্রদের যোগ্যতার বিচার সেই পাঠ্যক্রমের শিক্ষকেরাই সব চেয়ে ভাল ভাবে করতে পারেন, সে-কথা বলার অপেক্ষা রাখে না।’ তাতে আরও বলা হয়েছে: যাদবপুরে খুব সফল ভাবেই প্রবেশিকা পরীক্ষার মাধ্যমে কয়েক দশক ধরে ছাত্র বাছাই করা হচ্ছে। সম্পূর্ণ অকারণে এই সফল ব্যবস্থা ভেঙে দিয়ে যে-নতুন ব্যবস্থার প্রস্তাব করা হচ্ছে, তাতে মেধার মূল্যায়নে গুরুতর বিঘ্ন ঘটতে বাধ্য। রাজ্য জুড়ে ছাত্র ভর্তি নিয়ে যে-বিতর্ক চলছে, তার প্রেক্ষিতে রাজ্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সারস্বত কর্মকাণ্ডের উপরে অযাচিত আক্রমণের নিন্দা করছেন তাঁরা।

আরও পড়ুন: ভর্তি দুর্নীতি: সব দায় ঝেড়ে ফেললেন জয়া, সিলমোহর দিলেন পার্থ

পরে সুপ্রিয়াদেবী জানান, এই সব প্রবেশিকা পরীক্ষা অত্যন্ত গোপনে হয়। ‘‘শিক্ষামন্ত্রী কি জানেন, যাদবপুরের ইংরেজি বিভাগে হার্ভার্ড থেকে পড়ুয়ারা এক সিমেস্টার পড়তে আসেন? যাদবপুর ভাল ভাবে চলছে। এ-সব করে রাজ্য সরকার তা ধ্বংস করে দিতে চলেছে,’’ বলেন সুকান্তবাবু। ইংরেজি বিভাগের বেশ কয়েক জন প্রাক্তন শিক্ষক, প্রাক্তন পড়ুয়া নতুন ব্যবস্থার প্রতিবাদ করেন।

সাংবাদিকদের মুখোমুখি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষিকারা। মঙ্গলবার। নিজস্ব চিত্র

শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ওরা (যাদবপুর) এই বিষয়ে সাহায্য না-চাইলে তো কিছু করার নেই। তবে আমরা সাহায্য করতে সব সময় তৈরি।’’ কিছু বিষয়ে মেধার ভিত্তিতে ভর্তি আর কিছু বিষয়ে প্রবেশিকা— এতে তাঁর আপত্তি আছে বলে ফের জানান পার্থবাবু।

বাংলা, ইংরেজি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, ইতিহাস, দর্শন, তুলনামূলক সাহিত্যে ভর্তি-পরীক্ষার বিষয়ে অ্যাডভোকেট জেনারেলের মত নিয়েছিলেন যাদবপুর-কর্তৃপক্ষ। এজি অন্যান্য পরামর্শের সঙ্গেই জানান, প্রবেশিকায় সংশ্লিষ্ট বিভাগের বোর্ড অব স্টাডিজের কোনও ভূমিকা থাকবে না। তার পরে ভর্তি কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, প্রবেশিকার দু’‌সেট প্রশ্নপত্রের মধ্যে একটি সেট নেওয়া হবে বাইরের বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে। খাতা দেখার দায়িত্বও দেওয়া হবে বাইরের পরীক্ষকদের। এই ছ’টি বিষয়ের প্রবেশিকায় প্রশ্নপত্র কারা করবেন, পরীক্ষায় নজরদারির দায়িত্বে থাকবেন কারা, খাতা কারা দেখবেন— এই সব বিষয়ে কর্তৃপক্ষ এ দিন বৈঠকে বসেন। কিন্তু প্রবল মতবিরোধের ফলে সিদ্ধান্ত হয়নি।

ভর্তি কমিটির নিষ্ফলা বৈঠকের পরে রেজিস্ট্রার চিরঞ্জীব ভট্টাচার্যের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় শিক্ষক সংগঠন জুটার সদস্যদের। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদিকা নীলাঞ্জনা গুপ্ত রেজিস্ট্রারকে বলেন, ‘‘তা হলে অন্য সব পরীক্ষার প্রশ্ন তৈরি, খাতা দেখা থেকেও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অব্যাহতি দেওয়া হোক।’’ কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের শিক্ষিকা নন্দিনী মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগেও তা-ই করা হোক। ভর্তি-পরীক্ষায় ‘বাইরের হস্তক্ষেপ’-এর প্রতিবাদে স্মারকলিপি দেয় জুটা।

Jadavpur University Shankha Ghosh Entrance Examination
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy