Advertisement
E-Paper

প্রসেনজিৎ খুনে গ্রেফতার বৌদি

গত ২৯ জুলাই ধানতলা থেকে হাওড়ার উলুবেড়িয়ায় দিদির বাড়ি গিয়েছিলেন প্রসেনজিৎ। দু’দিন পর বারাসত যাবেন বলে বেরোন। ২ অগস্টের পরে আর তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ হয়নি বাড়ির লোকের। পরের দিন বাদুড়িয়ায় পাটখেতে তাঁর দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ অগস্ট ২০১৮ ০৪:৫০
প্রতীকী চিত্র

প্রতীকী চিত্র

রাতভর টানা জেরার পরে নিহত প্রসেনজিৎ রায়ের বৌদি শম্পা রায়কে গ্রেফতার করল পুলিশ। তিনি যে নিজে খুন করেননি, সে ব্যাপারে পুলিশ কার্যত নিশ্চিত। তবে সন্দেহভাজন যুবকের সঙ্গে তাঁর বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল এবং সে কারণে তিনি বিষয়টি জানতেন বলে প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের ধারণা। বুধবার উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট আদালতে তোলা হলে তাঁকে ছ’দিন পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবারই নদিয়ার ধানতলায় থানায় নিয়ে আসা হয়েছিল শম্পাকে। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জেরায় নানা রকম কথা বলেছেন তিনি। তাঁর বক্তব্যের মধ্যে বেশ কিছু অসঙ্গতি পাওয়া গিয়েছে। তাতেই পুলিশের সন্দেহ আরও জোরালো হয়। তাঁর কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যেতে পারে বুঝেই নদিয়ার ধানতলা থানা থেকে উত্তর ২৪ পরগনার বাদুড়িয়া থানায় নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। বাদুড়িয়া থানার পুলিশই তাঁকে গ্রেফতার করে।

গত ২৯ জুলাই ধানতলা থেকে হাওড়ার উলুবেড়িয়ায় দিদির বাড়ি গিয়েছিলেন প্রসেনজিৎ। দুদিন পর বারাসত যাবেন বলে বেরোন। ২ অগস্টের পরে আর তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ হয়নি বাড়ির লোকের। পরের দিন বাদুড়িয়ায় পাটখেতে তাঁর দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। সোমবার তাঁর দাদা গিয়ে দেহ শনাক্ত করেন।

রাতে শম্পার সঙ্গে ধানতলা থানায় ডাকা হয়েছিল তাঁর স্বামী, প্রসেনজিতের দাদা শঙ্করকেও। এ দিন দুপুরে তিনি বাড়ি ফেরেন। প্রসেনজিতের পারলৌকিক কাজ ছিল এ দিনই। শঙ্কর বলেন, “রাতে আমাকে আর শম্পাকে বাদুড়িয়া থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান আলাদা জায়গায় রাখা হয়েছিল। রাত থেকে সকাল পর্যন্ত টানা শম্পাকে জেরা করা হয়েছে বলে শুনেছি। বেলা ১১টা নাগাদ আমাকে বাড়ি চলে যেতে বলা হয়। তখনই শুনি, ভাইকে খুনের ঘটনায় ওকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শম্পাকে আদালতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।’’

প্রসেনজিতের বাড়ির লোকের সন্দেহ, যাঁকে তিনি তাঁর ব্যবসার অনেকটা দেখার ভার দিয়েছিলেন, মছলন্দপুরের বাসিন্দা সেই সুকান্ত বিশ্বাস এই খুনে জড়িত। বছর দুই ধরে বেশির ভাগ সময়ে ধানতলায় প্রসেনজিৎদের বাড়িতেই থাকত সে। তখনই শম্পার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিল বলে অভিযোগ প্রসেনজিতের স্ত্রী পূজার। যদিও শম্পা আগাগোড়াই তা অস্বীকার করে এসেছেন। উল্টে সুকান্ত তাঁকেও হুমকি দিয়েছিল বলে তিনি দাবি করেন। কিন্তু দেওর নিখোঁজ হওয়ার পর থেকেই শম্পার আচরণে অস্বাভাবিকত্ব ফুটে উঠছিল বলে বাড়ির লোকজন পুলিশকে জানিয়েছিলেন।

শঙ্কর বলেন, “ওই সুকান্তই আমার ভাইকে খুন করেছে। কিন্তু তাকে এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে বলে শুনিনি।’’

দুই চব্বিশ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ সহ দক্ষিণবঙ্গের খবর, পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলা খবর, বাংলার বিভিন্ন প্রান্তের খবর পেয়ে জান আমাদের রাজ্য বিভাগে।

Murder Prasenjit
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy