হোয়াট্সঅ্যাপ ব্যবহার করে কলকাতায় প্রতারণার ছক। ৫০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। মহারাষ্ট্র থেকে তিন জন এবং কলকাতা থেকে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কলকাতায় হেয়ার স্ট্রিট থানা এলাকা থেকে প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা নগদও উদ্ধার করেছে পুলিশ।
গত ৪ মার্চ পার্ক স্ট্রিট থানায় প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেছিলেন অঙ্কিত ভাঁটিয়া নামের যুবক। অভিযোগ, তাঁর বাবার কাছ থেকে কৌশলে ৫০ লক্ষ টাকা নিয়ে নেওয়া হয়েছে। কী ভাবে প্রতারণা? পুলিশ জানিয়েছে, দুষ্কৃতীরা হোয়াট্সঅ্যাপ নম্বরের নাম এবং ছবি বদল করে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। ওই নম্বরে একটি জনপ্রিয় প্লাইউড তৈরির সংস্থার ছবি দেওয়া হয়েছিল। সংস্থার মালিকের নাম করে ফোন করা হয়েছিল আরকে আগরওয়াল নামের এক ব্যক্তিকে। তাঁর কাছ থেকে আর্থিক সাহায্য চাওয়া হয়।
আরও পড়ুন:
এর পর আগরওয়াল ফোন করেন অঙ্কিতের বাবা বিজয়কুমার ভাঁটিয়াকে। ওই প্লাইউড সংস্থার মালিকের জন্য ৫০ লক্ষ টাকা জোগাড় করে দিতে অনুরোধ করেন। টাকা দিয়ে দেওয়ার পর তাঁরা বুঝতে পারেন, তাঁরা প্রতারিত হয়েছেন। এই সংক্রান্ত তদন্তে নেমে প্রথমেই এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ। প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে প্রতারকদের চিহ্নিত করা হয়। জানা যায়, অভিযুক্তেরা মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা। কলকাতা পুলিশের এক দল তাঁদের ধরতে মহারাষ্ট্রে যায়। গ্রেফতার করা হয় ২৮ বছরের ওয়াকাব মহম্মদ জাভেদ চান্ডিওয়ালা, ৩৬ বছরের রিয়াজ় রাজ়ি সইদ এবং ৩২ বছরের সচিন মনোহর প্রসাদকে। তাঁদের কাছ থেকে তিনটি মোবাইল, দু’টি ব্যাগ (একটি টাকা বহন করার বড় ব্যাগ) এবং পাঁচটি সিমকার্ড উদ্ধার করা হয়।
এর পর কলকাতায় অভিযান চালিয়ে ধরা হয় বাকি অভিযুক্তদের। ফুলবাগান থেকে ধরা পড়েন ৩৬ বছরের পবন সাউ। এ ছাড়া ৩৯ বছরের মহেন্দ্র পাল সিংহ এবং ৪০ বছরের চেতন সিংহ দাহিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে হেয়ার স্ট্রিট থানা এলাকা থেকে। তাঁরা দু’জনেই রাজস্থানের বাসিন্দা বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। তাঁদের কাছে প্রতারণার টাকা গিয়েছিল বলে অভিযোগ। উদ্ধার করা হয়েছে ২৪ লক্ষ ৯০ হাজার ৪৪০ টাকা নগদ। এ ছাড়াও, কিছু মোবাইল, আধার কার্ড, চেক বই এবং টাকা গোনার যন্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। তদন্ত চলছে।