Advertisement
E-Paper

জোড়া অভিযানে ঘরে ফিরল বহু শিশু

সেই নিখোঁজ শিশুদের কেউ কেউ এ বার ঘরে ফিরছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরে চালু হয়েছে নিখোঁজ শিশুদের বা়ড়ি ফেরানোর কেন্দ্রীয় উদ্যোগ ‘অপারেশন মুসকান’ এবং ‘অপারেশন স্মাইল’। জুলাইয়ে দেশের নানা প্রান্ত এবং এ রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে আট শতাধিক শিশুকে উদ্ধার করেছে সিআইডি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ অগস্ট ২০১৭ ০৪:০৮
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

ওদের কেউ কেউ হারিয়ে গিয়েছিল। কেউ বা বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়েছিল। আবার কাউকে চুরি করে আনা হয়েছিল। তার পর থেকে এত দিন নিজের বাড়ি বা পরিবারকে আর খুঁজে পায়নি ওদের কেউ।

সেই নিখোঁজ শিশুদের কেউ কেউ এ বার ঘরে ফিরছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরে চালু হয়েছে নিখোঁজ শিশুদের বা়ড়ি ফেরানোর কেন্দ্রীয় উদ্যোগ ‘অপারেশন মুসকান’ এবং ‘অপারেশন স্মাইল’। জুলাইয়ে দেশের নানা প্রান্ত এবং এ রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে আট শতাধিক শিশুকে উদ্ধার করেছে সিআইডি। তারা জানাচ্ছে, উদ্ধার করে আনা ৮১৮টি শিশুর মধ্যে ৫৫৭ জনকে তাদের পরিবারে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাকিদের রাজ্যের বিভিন্ন ‘শেল্টার হোম’-এ রাখা হয়েছে। ওরা ২০১৫-’১৬ সালে নিখোঁজ হয়েছিল।

পশ্চিমবঙ্গ থেকে ভিন্‌ রাজ্যের বেশ কিছু শিশুকেও উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ওডিশার ১৩টি মেয়ে এবং ছ’টি ছেলেকে রবিবার নিয়ে গিয়েছে সেখানকার পুলিশ। উদ্ধারের পরে আইন মেনে বিভিন্ন জেলার শিশু কল্যাণ সমিতির সামনে তাদের হাজির করানো হয় এবং সমিতির নির্দেশে তাদের ফিরিয়ে নিয়ে গিয়েছে ওডিশা পুলিশ।

এর আগে দু’টি পর্যায়ে অপারেশন মুসকান এবং অপারেশন স্মাইলের দৌলতে বিভিন্ন রাজ্যের বাচ্চা বাড়ি ফিরে গিয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, ২০১৪ সালে প্রথম ‘অপারেশন স্মাইল’ শুরু করেন গাজিয়াবাদের পুলিশ সুপার ধর্মেন্দ্র সিংহ। গাজিয়াবাদ থেকে নিখোঁজ শিশুদের উদ্ধার করার জন্য তিনি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তল্লাশির ব্যবস্থা করেন। ওই বছরের সেপ্টেম্বরে সেই অভিযানে মোট ২২৮টি বাচ্চাকে উদ্ধার করেছিলেন তিনি। তার মধ্যে ৮০টিই ছিল গাজিয়াবাদের শিশু।

গাজিয়াবাদ পুলিশের সাফল্য দেখে ২০১৫-য় কেন্দ্র সিদ্ধান্ত নেয়, সব রাজ্য ও কেন্দ্র-শাসিত অঞ্চলে এই অভিযান চালানো হবে। জানুয়ারিতে ‘অপারেশন স্মাইল’ শুরু হয় এবং জুলাইয়ে ‘অপারেশন মুসকান’। সেই জন্য সব রাজ্য থেকে পুলিশ আধিকারিকদের প্রশিক্ষণেরও ব্যবস্থা হয়। ২০১৫-র জানুয়ারিতে প্রতিটি রাজ্যের পুলিশ আধিকারিকেরা নিখোঁজ বাচ্চাদের ছবি-সহ সব রাজ্য ও কেন্দ্র-শাসিত অঞ্চলের হোম, বাসস্ট্যান্ড, রেল স্টেশন, শপিং মল, বাজার সংলগ্ন এলাকায় অভিযান শুরু করে। শিশু উদ্ধারের পরে খোঁজ চলে তাদের পরিবারের। আত্মীয়ের খোঁজ পেলে ফিরিয়ে দেওয়া হয় শিশুদের। না-পেলে শেল্টার হোমে রেখে তাদের পড়াশোনার ব্যবস্থা করা হয়।

Missing Children Child Trafficking Expedition
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy