আরও পড়ুন: রাহুলকে জবাব দিতে দিল্লিতে ‘টিম অসম’
রাহুল গাঁধী শিমলায় থাকবেন বলে বৃহস্পতিবারের বৈঠক বাতিল হচ্ছে, এমনটা কিন্তু প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বকে আগে জানায়নি রাহুল গাঁধীর অফিস। সেই কারণেই সোমেন মিত্র-গৌরব গগৈরা নির্ধারিত তারিখের আগেই দিল্লি পৌঁছে যান। পরে তাঁদের জানানো হয়, রাহুল বৃহস্পতিবার দিল্লিতে ফিরছেন না। তাই বৈঠক হবে শুক্রবার। কিন্তু শুক্রবার দুপুর পর্যন্তও রাহুল গাঁধীর শিমলাতে থাকার খবরই পেয়েছেন বাংলার কংগ্রেস কংগ্রেস নেতারা। এ দিনই তিনি শিমলা থেকে দিল্লির উদ্দেশে রওনা হবেন, এমন কোনও নিশ্চয়তাও তাঁরা পাননি। রাহুলরা শিমলা গিয়েছেন সড়ক পথে। ফিরবেনও সে ভাবেই। সেটা সময় সাপেক্ষ। ফলে শুক্রবার যদি কংগ্রেস সভাপতি শিমলা থেকে দিল্লি ফেরেনও, তা হলে ঠিক কখন ফিরবেন, কেউ জানেন না। ফেরার পরে আর বৈঠক করার মতো সময় থাকবে কি না, সে বিষয়েও সোমেনবাবুরা নিশ্চিত নন।
অন্য দিকে, শনিবার বিকেল চারটে নাগাদ কলকাতায় ফেরার উড়ান সোমেনদের। অর্থাৎ, যদি আজ বা কাল সকালের মধ্যে রাহুল দিল্লিতে ফিরে না আসেন এবং শনিবার দুপুরের মধ্যে বৈঠকের সময় নির্ধারিত না হয়, তা হলে এ যাত্রায় বৈঠক হচ্ছে না। প্রদেশ কংগ্রেসের তরফে তাই শুক্রবার রাহুল গাঁধীর অফিসকে জানানো হয়েছে যে, শনিবার বিকেলে সোমেন মিত্রের কলকাতা ফিরে যাওয়ার কথা রয়েছে। আজ অর্থাৎ শুক্রবার অথবা শনিবার দুপুরের আগে রাহুল গাঁধী সময় দিতে পারেন কি না, তা ভেবে দেখতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাফাল নিয়ে বায়ুসেনা প্রধান সত্য বলছেন না, দাবি মইলির
২০১৯-এর লোকসভা ভোটের আগে রাহুলের সঙ্গে প্রদেশ নেতৃত্বের এই বৈঠককে বেশ গুরুত্ব দিচ্ছিলেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। কারণ, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে কংগ্রেস গাঁটছড়া বাঁধবে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। দলের অন্দরে সোমেন-অধীরের গোষ্ঠীর মধ্যে মতবিরোধ থাকলেও, একটি বিষয়ে দু’পক্ষই এক মত। আর তা হল, কোনও ভাবেই রাজ্যে তৃণমূলের সঙ্গে জোট নয়। প্রয়োজনে বামেদের প্রসঙ্গে কিছুটা নমনীয় প্রদেশ নেতৃত্ব। জোট প্রশ্নে সোমেন নেতৃত্বাধীন প্রদেশ নেতৃত্বের মোদ্দা কথা হল, বাংলায় কংগ্রেসকে বিলুপ্তির হাত থেকে বাঁচাতে হলে, তৃণমূলের সঙ্গে জোট কোনও মতেই নয়।
এ ছাড়াও রয়েছে ১৯ জানুয়ারি ব্রিডেগ সমাবেশের প্রসঙ্গও। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই ১৯ জানুয়ারির মঞ্চে যোগ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়ে রেখেছেন কংগ্রেস হাইকম্যান্ডকে। কিন্তু, ওই দিন কংগ্রেস নেতৃত্ব মঞ্চে থাকুন, তা চান না প্রদেশ নেতারা। সূত্রের খবর, রাহুলের সঙ্গে বৈঠকে প্রদেশ কংগ্রেসের সেই মনোভাব তুলে ধরার পরিকল্পনা ছিল সোমেন-গৌরবদের। একই সঙ্গে, এ বিষয়ে রাহুলের মনোভাবও বুঝে নিতে চেয়েছিলেন গৌরবরা।
যদিও, প্রস্তাবিত এই বৈঠকের বিষয়ে প্রকাশ্যে একটি বাক্যও খরচ করেননি সোমেন মিত্র। তিনি কেবল জানিয়েছিলেন, যা বলার বলবেন কংগ্রেস সভাপতিকে। কিন্তু এ যাত্রায় আদৌ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা সম্ভব হবে কি না, নিশ্চিত হতে পারছে না বাংলার কংগ্রেস।
(বাংলার রাজনীতি, বাংলার শিক্ষা, বাংলার অর্থনীতি, বাংলার সংস্কৃতি, বাংলার স্বাস্থ্য, বাংলার আবহাওয়া - পশ্চিমবঙ্গের সব টাটকা খবর আমাদের রাজ্য বিভাগে।)