ভাপা, পাতুরি, কিংবা নেহাত সাদামাটা ভাজা। যে ভাবেই হোক, ইলিশের স্বাদ আর গন্ধে ভোজন রসিক বাঙালি মাত্রই জিভে জল আসে। আর ইলিশের কোনও পদ না হলে তো জামাইষষ্ঠীই কার্যত অসম্পূর্ণ। কিন্তু এ বছর জামাইয়ের পাতে পড়বে না টাটকা ইলিশ।
পরিবর্তে স্টোরের পুরনো ইলিশ দিয়েই জামাইষষ্ঠীর পদ রাঁধতে হবে শাশুড়িদের। এ মরশুমে কার্যত ইলিশ ধরা শুরুই হয়নি। তার উপর প্রতিকূল আবহাওয়া। তাই বাজারে গিয়ে মাছ বিক্রেতা যতই নামখানা বা দিঘার টাটকা ইলিশ বলে থলেয় দিতে চান না কেন, জানবেন, ওটা নির্ঘাত আগের বছরের মজুত করে রাখা ইলিশ।
প্রজননের মরশুম বলে পশ্চিমবঙ্গ-ওড়িশা-অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলে বৈশাখ ও জ্যৈষ্ঠ দু’মাস সমূদ্রে জাল ফেলা নিষিদ্ধ। সেই সময়সীমা পেরিয়ে এই শনিবার থেকেই গভীর সমূদ্রে রওনা দিয়েছে মাছ ধরার ট্রলারগুলি। কাকদ্বীপ, নামখানা, দিঘা, হলদিয়া, রায়দিঘি থেকে কয়েক হাজার ট্রলার সমূ্দ্রে মাছ ধরতে শুরু করছে। দু’-তিন দিনের আগে সব ট্রলার ফেরার সম্ভাবনা খুবই কম। আবার এখনও বর্ষা পুরোদমে শুরু হয়নি। ইলিশের মরশুমও সে ভাবে শুরু হয়নি। মাঝে একদিন পর মঙ্গলবারই জামাইষষ্ঠী। ফলে ইচ্ছে থাকলেও এ বছরের টাটকা ইলিশ জামাইষষ্ঠীর মেনুতে থাকার সম্ভাবনা প্রায় নেই বলেই জানাচ্ছেন মৎস্যজীবী এবং মাছ ব্যবসায়ীরা।