E-Paper

সোনারপুরে বাড়ি বাড়ি নদীর পরিস্রুত জল চলতি বছরেই

২০১৫ সালে ‘অম্রুত’ প্রকল্পে ঘরে ঘরে নদীর জল পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছিল। দশ বছর পরে সেই প্রকল্পের সুবিধা পেতে চলেছেন পুর এলাকার মানুষ।

সমীরণ দাস 

শেষ আপডেট: ১২ মে ২০২৫ ০৯:১৮
প্রতি দিন মাথাপিছু ১৩৫ লিটার করে জল পাবেন বাসিন্দারা।

প্রতি দিন মাথাপিছু ১৩৫ লিটার করে জল পাবেন বাসিন্দারা। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

সোনারপুর: চলতি বছরেই নদীর জল পরিশুদ্ধ করে পৌঁছে দেওয়া হবে রাজপুর-সোনারপুর পুর এলাকার ঘরে ঘরে। ২০১৫ সালে ‘অম্রুত’ প্রকল্পে ঘরে ঘরে নদীর জল পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছিল। দশ বছর পরে সেই প্রকল্পের সুবিধা পেতে চলেছেন এই পুর এলাকার মানুষ। সম্প্রতি প্রকল্পের কাজ ঘুরে দেখেন পুরপ্রধান পল্লব দাস, জল সরবরাহ বিভাগের পুর পরিষদ সদস্য নজরুল আলি মণ্ডল-সহ পুরসভার ইঞ্জিনিয়ার ও আধিকারিকেরা। পরে পুরপ্রধান বলেন, “আশা করছি, দুর্গাপুজোর আগেই জল সরবরাহ শুরু হবে।” তিনি জানান, প্রতি দিন মাথাপিছু ১৩৫ লিটার করে জল পাবেন বাসিন্দারা। ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য কোনও জলকর দিতে হবে না বলেও পুরসভা সূত্রে জানানো হয়েছে।

পুরসভা সূত্রের খবর, গার্ডেনরিচের ভূতঘাট এলাকায় গঙ্গার উপরে প্রকল্পের ‘ইনটেক জেটি’ তৈরি হয়েছে। সেখানেই নদী থেকে জল তোলা হবে। পাইপলাইনের মাধ্যমে সেই জল পৌঁছে যাবে প্রায় ১৮ কিলোমিটার দূরে রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত ‘ট্রিটমেন্ট প্লান্টে’। প্রায় দশ বিঘা জমির উপরে নির্মিত ওই প্ল্যান্টে জল শোধনের কাজ হবে। এর পরে সেই পরিস্রুত জল পৌঁছে যাবে বাড়ি বাড়ি। স্থানীয় ভাবে জল সরবরাহের জন্য ইতিমধ্যেই এলাকায় চারটি ওভারহেড জলাধার ও একটি ভূগর্ভস্থ জলাধার রয়েছে। সেগুলি সংস্কারের পাশাপাশি আরও ১৯টি ওভারহেড জলাধার ও দু’টি ভূগর্ভস্থ জলাধার তৈরি হচ্ছে।

পুর কর্তৃপক্ষ জানান, ইনটেক জেটিতে প্রতিদিন ১৮৫০ লক্ষ লিটার জল উত্তোলন হবে। এর মধ্যে ১২৪০ লক্ষ লিটার জল রাজপুর-সোনারপুর পুর এলাকায় ব্যবহারের জন্য পৌঁছবে ট্রিটমেন্ট প্লান্টে। বাকি জল যাবে কলকাতা পুর এলাকার একাংশে ও বারুইপুর পুর এলাকায়। এই প্রকল্পের জন্য প্রাথমিক খরচ ধরা হয়েছিল ৭৫১ কোটি টাকা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত প্রায় হাজার কোটি টাকা খরচ হচ্ছে বলে দাবি পুর কর্তৃপক্ষের। কেন্দ্র, রাজ্য ও পুরসভা মিলিত ভাবে এই খরচ করছে।

পুরসভার জল সরবরাহ বিভাগের পুর পরিষদ সদস্য নজরুল আলি মণ্ডল বলেন, “বর্তমানে ভূগর্ভস্থ জল তুলে পুর এলাকায় সরবরাহ করা হয়। নদীর জল সরবরাহ চালু হলে ভূগর্ভস্থ জল উত্তোলন পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হবে।” পুরপ্রধান পল্লব দাস বলেন, “চেতলায় পাইপলাইন যাওয়ার পথে একটি মন্দির পড়েছে। আমরা মন্দিরের ক্ষতি না করে, মন্দিরের নীচ দিয়েই পাইপ নিয়ে যাচ্ছি। ওই এলাকায় একটু সময় লাগছে। এর বাইরে এলাকায় পাইপলাইন পাতার কাজ প্রায় শেষ।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

water Sonarpur

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy