Advertisement
E-Paper

জরিমানার টাকা ফেরত, কলেজে বায়োমেট্রিক

জরিমানা নিয়ে হাজিরা-ঘাটতি ঢেকে পড়ুয়াদের পরীক্ষায় বসতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হটল সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজ। সোমবার কলেজ-কর্তৃপক্ষ জানান, জরিমানা হিসেবে পড়ুয়াদের কাছ থেকে নেওয়া টাকা ফেরত দেওয়া হবে। তবে আদৌ কেন জরিমানা নেওয়া হচ্ছিল, সেই বিষয়ে তদন্ত হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন উপাচার্য আশুতোষ ঘোষ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৪:১৯

জরিমানা নিয়ে হাজিরা-ঘাটতি ঢেকে পড়ুয়াদের পরীক্ষায় বসতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হটল সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজ। সোমবার কলেজ-কর্তৃপক্ষ জানান, জরিমানা হিসেবে পড়ুয়াদের কাছ থেকে নেওয়া টাকা ফেরত দেওয়া হবে। তবে আদৌ কেন জরিমানা নেওয়া হচ্ছিল, সেই বিষয়ে তদন্ত হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন উপাচার্য আশুতোষ ঘোষ।

জরিমানার টাকা ফেরতের সঙ্গে সঙ্গে এ দিন সিদ্ধান্ত হয়েছে, পড়ুয়াদের ক্লাসে আনতে ওই কলেজে বায়োমেট্রিক হাজিরা পদ্ধতি চালু করা হবে। কলেজের অধ্যক্ষ দেবাশিস চট্টোপাধ্যায় জানান, বায়োমেট্রিক ব্যবস্থায় পড়ুয়ারা কলেজ ক্যাম্পাসে ঢুকে হাজিরা কার্ড পাঞ্চ করলে সঙ্গে সঙ্গে অভিভাবকের মোবাইল ফোনে এই বিষয়ে বার্তা চলে যাবে।

কলেজ-পড়ুয়াদের ক্লাস করানোর জন্য এমন দাওয়াই প্রয়োজন হচ্ছে জেনে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন শিক্ষা মহলের একাংশ। গরহাজিরা চাপা দিয়ে পরীক্ষায় বসার ছাড়পত্র দেওয়ার জন্য জরিমানার ব্যবস্থাও একই ভাবে হতবাক করে দিয়েছিল তাঁদের।

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজে পড়ুয়ার সংখ্যা ৯১০। সামনেই সব বর্ষের সেমেস্টার পরীক্ষা। তার জন্য ফর্ম পূরণ পর্ব শুরু হওয়ার আগে কর্তৃপক্ষ দেখেন, পরীক্ষায় বসার জন্য ন্যূনতম ৭০ শতাংশ হাজিরা নেই মোট ৮৩০ জন পড়ুয়ার। তখনই সিদ্ধান্ত হয়, প্রত্যেকের থেকে জরিমানা বাবদ চার হাজার টাকা নেওয়া হবে। কিন্তু পড়ুয়ারা জরিমানার পরিমাণ নিয়ে আপত্তি তোলায় কর্তৃপক্ষ তা কমিয়ে করেন দু’হাজার ১০০ টাকা। অধ্যক্ষের দাবি ছিল, পড়ুয়ারা যে ক্লাস করেন না, অভিভাবকদের কাছে সেই বিষয়ে একটা বার্তা পৌঁছে দিতেই জরিমানা ধার্য করা হয়েছে।

কিন্তু উপাচার্য আশুতোষবাবু জানিয়ে দেন, কলেজ-কর্তৃপক্ষ এ ভাবে পড়ুয়াদের কাছ থেকে জরিমানা নিতে পারেন না। তাঁর নির্দেশে বিষয়টি ওই কলেজকে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ডিন যতীন্দ্রকুমার দাস। তাঁর বক্তব্য, পড়ুয়াদের প্রয়োজনীয় হাজিরা না-থাকলে জরিমানা করার কোনও নিয়ম নেই বিশ্ববিদ্যালয়ে। নিয়ম অনুযায়ী ক্লাসে ন্যূনতম ৭০ শতাংশ হাজিরা থাকলে তবেই পরীক্ষায় বসতে দেওয়ার কথা। পাঁচ শতাংশ হাজিরা-ঘাটতি মকুব করতে পারেন সংশ্লিষ্ট কলেজের অধ্যক্ষ, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বা আইনের ডিন।

তার পরেই ঠিক হয়, জরিমানার টাকা ফিরিয়ে দেওয়া হবে। অধ্যক্ষ দেবাশিসবাবু এ দিন বলেন, ‘‘পঞ্চম বর্ষের ছাত্রছাত্রীদের এখনই টাকা ফেরত দিয়ে দেওয়া হবে। অন্যান্য বর্ষের পড়ুয়াদের টাকা বাদ দেওয়া হবে নতুন বছরে ভর্তির ফি থেকে।’’

South Calcutta Law College
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy