অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে মশা নিয়ন্ত্রণে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে দক্ষিণ দমদম পুরসভা। চলতি বছরের প্রথম চার মাসে মাত্র এক জন ব্যক্তি ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। ওই এলাকায় গত বছরে এই সময়কালে ১৫ জন ব্যক্তি ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তবুও আত্মতুষ্টিতে না ভুগে প্রথম থেকেই মশা নিয়ন্ত্রণে বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে। পুরসভা সূত্রের খবর, প্রতিটি ওয়ার্ডে মশাবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত দশ জন কর্মীকে নামানো হয়েছে। প্রতিটি ওয়ার্ডে ইতিমধ্যেই গড়ে ২০-২২ জন কর্মী কাজ করছেন। সেখানে আরও ১০ জন কর্মী বাড়ানো হচ্ছে।
এক পুরকর্তা জানান, গত কয়েক বছরে যে সমস্ত অঞ্চলে ডেঙ্গির প্রকোপ বেশি ছিল, সে সব জায়গা চিহ্নিত করে বিশেষ অভিযানে জোর দেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে ডেঙ্গির প্রকোপ বৃদ্ধির নেপথ্যে স্থানীয় স্তরে উৎস সন্ধানে বাড়তি নজর দেওয়া হচ্ছে। স্টেট আরবান ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি বা সুডা-র পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রতিটি ওয়ার্ডে ডেঙ্গি প্রতিরোধে কী কী কাজ করতে হবে, তা নির্দিষ্ট করে দায়িত্ব বণ্টন করা হচ্ছে। জল জমে মশার বংশবৃদ্ধির অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, এমন জায়গা চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে জোর আরও বাড়ানো হবে। পাশাপশি ড্রোনে নজরদারির চিন্তাভাবনাও চলছে।
যদিও স্থানীয়দের একাংশের কথায়, কর্মীর সংখ্যা বাড়লে কাজের গতি বাড়বে সেটাই স্বাভাবিক। তবে আবর্জনা জমতে দেওয়া, বাড়ির আশপাশে জল জমিয়ে রাখার মতো প্রবণতা ঠেকাতে সচেতনতা বাড়াতে হবে। না হলে সমস্যা সমূলে উচ্ছেদ করা সম্ভব হবে না।
পুরসভার চেয়ারম্যান পারিষদ (স্বাস্থ্য) সঞ্জয় দাস জানান, গত বছরের তুলনায় এ বছরের পরিস্থিতি অনেকটাই ভাল। তা সত্ত্বেও মশাবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণের কাজে বাড়তি জোর দেওয়া হচ্ছে। অতিরিক্ত কর্মীকে ওয়ার্ডে নিযুক্ত করা সেই প্রক্রিয়ারই অংশ।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)