Advertisement
E-Paper

রাজ্যের হাউসিং প্রকল্পে সরকারি ফি আদায় সংক্রান্ত বিষয়ে নয়া নীতির অনুমোদন দিল সরকার, ছাড়পত্র মন্ত্রিসভার বৈঠকে

বৃহস্পতিবার বিধানসভায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে। সরকারি সূত্রে খবর, নগর উন্নয়ন ও পুর দফতরের অধীনস্থ বিভিন্ন সংস্থার মালিকানাধীন একাধিক নন-রেসিডেন্সিয়াল প্লট অতীতে শিল্প ইউনিটগুলিকে দেওয়া হয়েছিল কর্মচারীদের আবাসনের সুবিধার্থে।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০০:২৮
জমি যদি আবাসন প্রকল্পে ব্যবহার হয়, তাহলে শুধু রাজস্ব আয় বাড়বে না, পাশাপাশি সাশ্রয়ী মূল্যে ফ্ল্যাট তৈরির সুযোগও তৈরি হতে পারে।

জমি যদি আবাসন প্রকল্পে ব্যবহার হয়, তাহলে শুধু রাজস্ব আয় বাড়বে না, পাশাপাশি সাশ্রয়ী মূল্যে ফ্ল্যাট তৈরির সুযোগও তৈরি হতে পারে। —প্রতীকী চিত্র।

পশ্চিমবঙ্গের আবাসন প্রকল্পকে আরও গতি দিতে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন রাজ্য মন্ত্রিসভা। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে এই প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে। সরকারি সূত্রে খবর, নগর উন্নয়ন ও পুর দফতরের অধীনস্থ বিভিন্ন সংস্থার মালিকানাধীন একাধিক নন-রেসিডেন্সিয়াল প্লট অতীতে শিল্প ইউনিটগুলিকে দেওয়া হয়েছিল কর্মচারীদের আবাসনের সুবিধার্থে। দীর্ঘমেয়াদি ইজারা— অনেক ক্ষেত্রে ৯৯ বছর বা তারও বেশি মেয়াদে— সেই জমি দেওয়া হয়েছিল।

কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বহু শিল্প ইউনিট বন্ধ হয়ে গেছে বা জমির ব্যবহার পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। ফলে জমির একাংশ কার্যত অব্যবহৃত পড়ে রয়েছে। এই পরিস্থিতিতেই সরকার হাউসিং প্রজেক্টের দিক থেকে নতুন দিশা দেখাতে চাইছে। মন্ত্রিসভা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, নন-রেসিডেন্সিয়াল জমিকে হাউসিং বা রিয়েল এস্টেট প্রকল্পের কাজে ব্যবহার করার ক্ষেত্রে বিশেষ ছাড়পত্র দেওয়া হবে।

এই জন্য একটি নতুন নীতি প্রণয়ন করা হচ্ছে, যার মাধ্যমে জমির ব্যবহার পরিবর্তনের ক্ষেত্রে সরকারি ফি আদায়ের প্রক্রিয়াকে সহজতর ও স্বচ্ছ করা হবে। সংশ্লিষ্ট শিল্প ইউনিট বা সংস্থাগুলি চাইলে এই নীতির আওতায় আবেদন করতে পারবে। কর্মকর্তাদের দাবি, এর ফলে একদিকে যেমন জমি ব্যবহারে স্বচ্ছতা আসবে, তেমনই বাড়বে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা। একই সঙ্গে আবাসন খাতে গতি আসবে, যা সাধারণ মানুষের জন্যও সুফল বয়ে আনবে।

বিশেষজ্ঞ মহলের মতে, কলকাতা ও শহরতলির বহু মূল্যবান জমি বর্তমানে নিষ্ক্রিয় অবস্থায় রয়েছে। সেই জমি যদি আবাসন প্রকল্পে ব্যবহার হয়, তাহলে শুধু রাজস্ব আয় বাড়বে না, পাশাপাশি সাশ্রয়ী মূল্যে ফ্ল্যাট তৈরির সুযোগও তৈরি হতে পারে। সরকারও মনে করছে, জমির ব্যবহার পরিবর্তনের অনুমতি প্রাপ্তির ক্ষেত্রে সহজ শর্ত থাকলে প্রকল্প রূপায়ণ দ্রুত সম্পন্ন হবে।

মন্ত্রিসভার এই সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক পদক্ষেপ বলে মনে করছেন রিয়েল এস্টেট মহল। তাঁদের আশা, এতে বড় বড় আবাসন সংস্থাগুলি নতুনভাবে প্রকল্প গ্রহণে উৎসাহী হবে। একই সঙ্গে অব্যবহৃত জমি কাজে লাগলে শহরের আবাসন সমস্যা নিরসনেও কিছুটা সুরাহা হতে পারে।

Bidhansabha Housing
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy