Advertisement
E-Paper

লোধা-শবরদের জন্য বিশেষ নজরদারি কমিটি রাজ্যের

লোধা-শবরদের পাওয়া-না পাওয়ার হিসেব কষতে তৈরি হল বিশেষ নজরদারি কমিটি। জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, শুধু লালগড়ের জঙ্গলখাস নয়, ঝাড়গ্রাম জেলার ৮টি ব্লকেই অতিরিক্ত জেলাশাসক, বিডিও ও আধিকারিকদের নিয়ে এই কমিটি গড়া হয়েছে। প্রতিটি কমিটির মাথায় রয়েছেন জেলাশাসক। 

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ নভেম্বর ২০১৮ ০৪:২২
শবরপল্লিতে শৈশব। ঝাড়গ্রামের দহিজুড়িতে। নিজস্ব চিত্র

শবরপল্লিতে শৈশব। ঝাড়গ্রামের দহিজুড়িতে। নিজস্ব চিত্র

লোধা-শবরদের পাওয়া-না পাওয়ার হিসেব কষতে তৈরি হল বিশেষ নজরদারি কমিটি। জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, শুধু লালগড়ের জঙ্গলখাস নয়, ঝাড়গ্রাম জেলার ৮টি ব্লকেই অতিরিক্ত জেলাশাসক, বিডিও ও আধিকারিকদের নিয়ে এই কমিটি গড়া হয়েছে। প্রতিটি কমিটির মাথায় রয়েছেন জেলাশাসক।

ঝাড়গ্রামের জেলাশাসক আয়েষা রানি অবশ্য বলেন, “গত জুনে আমি দায়িত্ব নেওয়ার পরেই প্রতি সপ্তাহে এক দিন করে গ্রাম পরিদর্শনের ব্যবস্থা করেছি। এ বার শবর গ্রামগুলিতে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে।’’ জেলাশাসক আরও জানান, শবরদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন ও কর্মসংস্থানে কয়েক মাস আগেই বিশেষ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। চারশো শবর যুবককে চুক্তিভিত্তিক নিরাপত্তারক্ষীর কাজের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

লালগড়ের জঙ্গলখাসে সাত শবরের মৃত্যুসংবাদ সামনে আসার পরে মেদিনীপুর লোধা-শবর কল্যাণ সমিতির সম্পাদক বলাইচন্দ্র নায়েক অভিযোগ করেছিলেন, পঞ্চায়েতস্তরে শবরদের বিষয়ে খোঁজখবর রাখা হচ্ছে না। এলাকা ঘুরেও দেখা যায়, শবরপল্লির অনেকের কাছেই ভোটার কার্ড, আধার কার্ড, জব কার্ড নেই। কিছু ক্ষেত্রে রেশন কার্ড ডিলারদের কাছে জমা থাকে বলেও অভিযোগ।

এই পরিস্থিতিতে লোধা-শবররা সরকারি পরিষেবা পাচ্ছেন কি না সেটাই দেখবে কমিটি। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, প্রশ্নাবলি তৈরি করে জানা হচ্ছে— লোধা-শবর পরিবারগুলি সরকারি প্রকল্পে বাড়ি, শৌচাগার পেয়েছে কি না, রেশন ঠিকভাবে পৌঁছচ্ছে কি না, কতগুলি পরিবারের হাতে জব কার্ড রয়েছে, তারা শেষ কবে একশো দিনের কাজ পেয়েছে।

এ দিনও জঙ্গলখাসে প্রশাসনিক পরিদর্শন হয়েছে। এসেছিলেন তৃণমূলের নেতারা। পূর্ণাপাণি ও আশপাশের গ্রামে ফের আবগারি অভিযানও হয়। জেলার আবগারি সুপার মিলন বিশ্বাস জানান, ২২টি জায়গায় হানা দিয়ে ৪৬০ লিটার মদ তৈরির উপকরণ ও ৬০ লিটার চোলাই বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। গ্রেফতার হয়েছে দু’জন।

সাত শবরের মৃত্যু নিয়ে এ দিনও বিঁধেছেন বিরোধীরা। বৃহস্পতিবার পশ্চিম বর্ধমানের বারাবনিতে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘‘আদিবাসীরা খাবার না পেয়ে অসুস্থ হচ্ছেন, মারা যাচ্ছেন। আর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উৎসবে মেতে রয়েছেন।’’ এই অভিযোগ খারিজ করে ঝাড়গ্রাম জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান সুকুমার হাঁসদার বক্তব্য, “শবরদের খাবারের অভাব নেই। কয়েক জন অসুস্থ ছিলেন। ঠিক মতো ওষুধ খেতেন না। তা নিয়ে বিরোধীরা অযথা রাজনীতি করছেন।”

Sabar people Lalgarh Jhargram
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy