Advertisement
E-Paper

নড্ডা কাণ্ড: মুখে কুলুপ দু’পক্ষেরই

কেন্দ্রীয় ক্যাডারে এসে যোগদানের প্রশ্নে নীরব রাজ্যের তিন আইপিএস কর্তাও।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০২০ ০৪:৫৮
নড্ডার কনভয়ের গাড়ি ভাঙচুর। ফাইল চিত্র।

নড্ডার কনভয়ের গাড়ি ভাঙচুর। ফাইল চিত্র।

গত সপ্তাহে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডার কনভয়ে হামলার পরে রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্রকে দিল্লিতে ডেকে পাঠায় কেন্দ্র। আজ সোমবার ছিল বৈঠকের দিন। কিন্তু বৈঠক থেকে অব্যাহতি চেয়ে স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভল্লাকে আগেই চিঠি দিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। তবুও আজ বৈঠকের সব প্রস্তুতি সেরে রেখেছিলেন স্বরাষ্ট্রকর্তারা। সকালে রটেছিল, মধ্যপন্থা হিসেবে ওই দু’জনের পরিবর্তে রেসিডেন্ট কমিশনার কৃষ্ণ গুপ্ত বৈঠকে যোগ দিতে পারেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আসেননি তিনিও। ফলে কেন্দ্র-রাজ্য উভয় শিবিরের অচলাবস্থা কাটল না।

কেন্দ্রীয় ক্যাডারে এসে যোগদানের প্রশ্নে নীরব রাজ্যের তিন আইপিএস কর্তাও। ঘটনার দিন নড্ডার কনভয়ের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন আইজি (দক্ষিণবঙ্গ) রাজীব মিশ্র, ডিআইজি (প্রেসিডেন্সি রেঞ্জ) প্রবীণ কুমার ত্রিপাঠী ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার পুলিশ সুপার ভোলানাথ পাণ্ডে। হামলা নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য তিক্ততা বাড়তেই ওই তিন আইপিএস অফিসারকে কেন্দ্রীয় ডেপুটেশনে নিতে চেয়ে নবান্নে চিঠি পাঠায় কেন্দ্র। নড্ডার মতো জ়েড শ্রেণির নিরাপত্তাপ্রাপকের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তির গা-ছাড়া মনোভাবের কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র। যদিও ওই তিন অফিসারকে দিল্লি আসার অনুমতি দিতে নারাজ রাজ্য। রাজ্যের ছাড়পত্র ছাড়া ওই আমলাদের কেন্দ্রীয় ক্যাডারে যোগ দেওয়া কঠিন, তা সম্যক জানেন স্বরাষ্ট্রকর্তারা। সূত্রের খবর, সেই কারণেই আপাতত ধীরে চলো নীতি নেওয়ার পক্ষপাতী কেন্দ্র। পাশাপাশি তিন আমলার বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় নির্দেশ অমান্য করার অপরাধে ব্যবস্থা নিলে আইপিএস অফিসারদের মধ্যে ভুল বার্তা যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পর্যবেক্ষকদের মতে, বিষয়টি নিয়ে সবদিক মেপে পা ফেলতে চাইছে কেন্দ্র।

JP Nadda MHA State Government Alapan Bandyopadhyay
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy