Advertisement
E-Paper

‘রাতে গৃহস্থের বাড়িতে হানা, মহিলাদের বলেন, তোর স্বামী কোথায়?’ কেষ্টর পর রাজ্যের মন্ত্রীর নিশানায় ফের এক আইসি

সম্প্রতি বোলপুরের আইসি-কে হুঁশিয়ারি এবং তাঁকে কুকথা বলে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল ওরফে কেষ্ট। তার জন্য তাঁকে প্রকাশ্যে ক্ষমাও চাইতে হয়েছিল। এ বার রাজ্যের এক মন্ত্রীর নিশানায় আর এক আইসি।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ অগস্ট ২০২৫ ১৪:৩৯

গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

সম্প্রতি বোলপুরের আইসি-কে হুঁশিয়ারি এবং তাঁকে কুকথা বলে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল ওরফে কেষ্ট। তার জন্য তাঁকে প্রকাশ্যে ক্ষমাও চাইতে হয়েছিল। এ বার রাজ্যের এক মন্ত্রীর নিশানায় আর এক আইসি।

নিজের বিধানসভা কেন্দ্র মন্তেশ্বরের আইসি-র বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিলেন রাজ্যের গ্রন্থাগারমন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। তাঁর অভিযোগ, রাতে গৃহস্থের বাড়িতে হানা দেন আইসি। এ রকম একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে তাঁর কাছে। মন্ত্রী বলেন, ‘‘আমি জানতে পেরেছি, রাতের অন্ধকারে মন্তেশ্বর থানার আইসি নিজে লোকের বাড়ির দরজায় লাঠি দিয়ে ঠকঠক করছে। ওই সব বাড়িতে যে যুবতী, বয়স্ক মহিলারা থাকেন, তাঁরা আতঙ্কিত হয়ে দরজা খুলতে বাধ্য হচ্ছে। কখনও রাত ১২টা, কখনও রাত ১টা। দরজায় ধাক্কা দিয়ে আইসি বলছেন— এই তোর স্বামী কোথায়? আবার কাউকে বলছেন— এই তোর বাবা কোথায়? এটা কোনও পুলিশের কাজ? থানার বড়বাবুর কাজ এটা? এর থেকে তো গরু-ছাগল চরানো অনেক ভাল।’’

মন্তেশ্বর বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত মেমারির সাতগেছিয়া এলাকায় সিদ্দিকুল্লার বিধায়ক কার্যালয়। সেখানে ‘পাড়ায় সমাধান’ কর্মসূচীর পরেই আইসি-র বিরুদ্ধে সরব হন মন্ত্রী। মন্ত্রীর দাবি, এই ধরনের ঘটনার ভিডিয়ো মন্তেশ্বরের বাসিন্দাদের ফোনে ফোনে ঘুরছে। আইসি-কে ঘেরাও করার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন সিদ্দিকুল্লা।

স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীই এ রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী। তাঁরই মন্ত্রিসভার এক মন্ত্রীর এই দাবি ঘিরে স্বাভাবিক ভাবেই রাজনীতিতে শোরগোল পড়েছে। আইসি-র উদ্দেশে সিদ্দিকুল্লা বলেন, ‘‘কেন এই ভাবে খাকি পোশাক আর মুখ্যমন্ত্রীর বদনাম করছেন? আপনি দায়িত্ব পালন করতে না পারলে ছেড়ে দিন।’’

সম্প্রতি নিজের বিধানসভা কেন্দ্রেই আক্রান্ত হয়েছিলেন সিদ্দিকুল্লা। সেই ঘটনায় দলের এক নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ। সেই ঘটনাতেও আইসির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘ওই গুন্ডা প্রকৃতির নেতা যা বলছেন, তাই আপনি এক তরফা ভাবে শুনছেন। যদি আপনি নিরপেক্ষ না হন, তা হলে বাধ্য হয়ে আমায় থানা ঘেরাওয়ের ডাক দিতে হবে।’’ সোজা আঙুলে ঘি না-উঠলে আঙুল বাঁকাতে হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মন্ত্রী।

যদিও মন্ত্রীর মন্তব্য নিয়ে জেলা পুলিশের তরফে এখনও কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি।

Siddiqullah Chowdhury Anubrata Mondal
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy