Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪

টাকা চেয়ে গ্রেফতার ছাত্রনেতা

পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম তরুণ সেন। তিনি ওই কলেজের টিএমসিপি’র সংসদের সাধারণ সম্পাদক। গত শুক্রবার দুপুরে কলেজ চত্বরে এই ঘটনার পর ফেলিক্স আশুতোষ কুজুর নামে তারাবান্ধার রাজি জোতের বাসিন্দা ওই ছাত্র এ দিন পুলিশে অভিযোগ জানান।

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৫ জুলাই ২০১৮ ০৪:১২
Share: Save:

ভর্তির ব্যাপারে খোঁজ নিতে আসা এক আদিবাসী ছাত্রের কাছ থেকে দাবিমত টাকা না পেয়ে মারধরের অভিযোগে শনিবার গ্রেফতার হলেন শাসক দলের এক ছাত্রনেতা।

বাগডোগরার কালীপদ ঘোষ তরাই মহাবিদ্যালয়ের ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম তরুণ সেন। তিনি ওই কলেজের টিএমসিপি’র সংসদের সাধারণ সম্পাদক। গত শুক্রবার দুপুরে কলেজ চত্বরে এই ঘটনার পর ফেলিক্স আশুতোষ কুজুর নামে তারাবান্ধার রাজি জোতের বাসিন্দা ওই ছাত্র এ দিন পুলিশে অভিযোগ জানান। ফেলিক্সের মাথা ফাটিয়ে জামাকাপড় ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এ দিন দুপুরে আদিবাসী বিকাশ পরিষদের তরফে বাগডোগরা থানায় বিক্ষোভ দেখিয়ে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়। বিরোধী সংগঠনগুলির দাবি, ভর্তি ঘিরে টাকা আদায় যে সমানে চলছে, এই ঘটনাতেই তা প্রমাণিত। আজ, রবিবার অভিযুক্তকে শিলিগুড়ি আদালতে তোলার কথা। শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার ভরতলাল মিনা বলেন, ‘‘কলেজ ভর্তি নিয়ে কোনও বেআইনি কাজ চলবে না। অভিযোগ পেলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

টিএমসিপি’র জেলা সভাপতি নির্ণয় রায় বলেন, ‘‘টিএমসিপি কাউকে মারতে বা টাকা চাইতেও বলেনি। কেউ যদি এমনটা করে থাকে সেটা তাঁর দায়িত্ব। পুলিশি তদন্তে দোষী হলে শাস্তি হবে।’’ এসএফআই জেলা সভাপতি সাগর শর্মা বলেন, ‘‘কলেজে কলেজে ভর্তির নামে গরমিলের চেষ্টা, টাকা আদায় চলছে। এই অভিযোগ তার সত্যতা প্রমাণ করল।’’

পুলিশ ও কলেজ সূত্রের খবর, বিএ সাধারণ স্নাতক কোর্সে ভর্তির তালিকায় ফেলিক্সের নাম উঠেছে। কিন্তু সেই সংক্রান্ত এসএমএস না পাওয়ায় শুক্রবার তিনি কলেজে খোঁজ নিতে যান। কলেজের অফিস থেকে তাঁকে অনলাইনে টাকা জমা করে কলেজে আসতে বলা হয়। এরপর কলেজের গেটের কাছে তিনি ভর্তিতে সহায়তার কথা লেখা এবং চারটি ফোন নম্বর দেওয়া একটি পোস্টার দেখতে পান। সেখান থেকে একটি নম্বরে ফোন করায় তাঁকে কলেজের ভিতরে ডেকে নেওয়া হয়। ফেলিক্স জানান, কলেজের ভিতর ঢুকতেই কয়েকজন তাঁর কাছে আসেন। ফেলিক্স তখন অনলাইনে টাকা জমা দিয়ে ভর্তির ব্যাপারে কিছু জানতে চান। তখন ভর্তির ব্যবস্থা করার জন্য তিন হাজার টাকা চাওয়া হয়। ফেলিক্স এ নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন করাতেই চড়-থাপ্পড় মারা শুরু হয়। তারা হুমকি দেয়, টাকা দিলেই ভর্তির ব্যবস্থা করবে তারা। ফেলিক্স রাজি না হওয়ায় তাঁকে ফের মারধর করা হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE