মদন তামাঙ্গ হত্যা মামলায় চার্জশিট থেকে বিমল গুরুঙ্গের নাম বাদ দিতে বলেছিল নিম্ন আদালত। বাকিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠনের শুনানি অবশ্য চলছিল সেখানে। আজ মদনের স্ত্রী ভারতী তামাঙ্গের এক মামলার পরিপ্রেক্ষিতে নিম্ন আদালতের শুনানির উপরে স্থগিতাদেশ জারি করেছে। সেখানে সিবিআই-ও জানিয়েছে, তারাও চার্জশিট থেকে গুরুঙ্গের নাম বাদ দেওয়ার বিরোধিতা করে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন জানাবে।
২০১০ সালের মে মাসে দার্জিলিঙে সভা করতে এসে সকালে রাস্তার উপরে খুন হয়ে যান মদন তামাঙ্গ। এই খুনে অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে নিকল তামাঙ্গকে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু নিকলও পিনটেল ভিলেজে পুলিশি হেফাজত থেকে পালিয়ে যান।
বিমল গুরুঙ্গ বিরোধী এই নেতার হত্যাকাণ্ডে তদন্তের ভার এর পরে নেয় সিবিআই। তারা যে চার্জশিট পেশ করে, তাতে গুরুঙ্গ, রোশন গিরি, আশা গুরুঙ্গ, বিনয় তামাঙ্গের মতো পাহাড়ের ৪৮ জন গুরুত্বপূর্ণ নেতার নাম ছিল। গত অগস্ট মাসে কলকাতার নগর ও দায়রা আদালত নির্দেশ দেয়, গুরুঙ্গের নাম চার্জশিট থেকে বাদ দেওয়া হোক। সেই রায়ের বিরুদ্ধে এর মধ্যেই হাইকোর্টে মামলা করেছেন ভারতী। এ ছাড়াও খুনের নিরপেক্ষ তদন্তের দাবিতে সর্বোচ্চ আদালতে মামলা করেছিলেন তিনি।
সেই মামলার শুনানির সময়েই এ দিন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি কুরিয়েন জোসেফ ও বিচারপতি অমিতাভ রায়ের বেঞ্চের কাছে ভারতীর আইনজীবী প্রজ্ঞা বাঘেল দাবি করেন, নিম্ন আদালতের শুনানির উপরে স্থগিতাদেশ জারি করা হোক। তাতে আপত্তি জানান সিবিআইয়ের আইনজীবী কে রাধাকৃষ্ণণ। তিনি জানান, চার্জশিট থেকে গুরুঙ্গের নাম বাদ দেওয়ার জন্য নিম্ন আদালত যে নির্দেশ দিয়েছে, তার বিরুদ্ধে খুব শীঘ্রই হাইকোর্টে আবেদন
জানাবে সিবিআই। বিচারপতিরা প্রশ্ন তোলেন, সে ক্ষেত্রে নিম্ন আদালতের শুনানিতে স্থগিতাদেশে আপত্তি কোথায়?
এ বিষয়ে অগ্রগতি সম্পর্কে তিন সপ্তাহের মধ্যে সিবিআইকে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। ২৩ জানুয়ারি ফের এই মামলার শুনানি হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy