Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

অভিষেক মঞ্চে, হাত বাড়ালেন শুভেন্দু

হাত বদলাল ব্যাটন। অগ্রজ সাংসদ হাত বাড়ালেন নবীন সহকর্মীর দিকে। দলের তরফে দুই মেদিনীপুরের পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পাওয়ার পরে প্রথম জেলা সফরে গেলেন যুব তৃণমূলের সভাপতি, সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে পূর্বসূরি সাংসদ শুভেন্দু অধিকারীই যেন দলীয় দায়িত্বের ব্যাটন তুলে দিলেন তাঁর হাতে।

২১শে জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভায় পাশাপাশি শুভেন্দু অধিকারী ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার কেশপুর। ছবি: রামপ্রসাদ সাউ।

২১শে জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভায় পাশাপাশি শুভেন্দু অধিকারী ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার কেশপুর। ছবি: রামপ্রসাদ সাউ।

সুমন ঘোষ ও আনন্দ মণ্ডল
কেশপুর ও পাঁশকুড়া শেষ আপডেট: ১৭ জুলাই ২০১৫ ০৩:২৫
Share: Save:

হাত বদলাল ব্যাটন। অগ্রজ সাংসদ হাত বাড়ালেন নবীন সহকর্মীর দিকে। দলের তরফে দুই মেদিনীপুরের পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পাওয়ার পরে প্রথম জেলা সফরে গেলেন যুব তৃণমূলের সভাপতি, সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে পূর্বসূরি সাংসদ শুভেন্দু অধিকারীই যেন দলীয় দায়িত্বের ব্যাটন তুলে দিলেন তাঁর হাতে।

বৃহস্পতিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরের সমাবেশে শুভেন্দু বলেন, ‘‘একটা সময় আমিও দলের যুব সভাপতি ছিলাম। তখন জেলার অলিতে-গলিতে ঘুরে ২১শে জুলাইয়ের প্রচার করেছি। আর এখন ওই সভার সমর্থনে আমাদের প্রিয় ভাই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতায় যাওয়ার ডাক দিচ্ছেন।”

আগামী ২১ জুলাই কলকাতায় শহিদ দিবসের প্রস্তুতিতে বৃহস্পতিবার পাঁশকুড়া ও কেশপুর দু’জায়গায় সভা করেন অভিষেক। দুপুরে পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার পিডব্লিউডি ময়দানে সভার পরে, বিকেলে কেশপুর পৌঁছন তিনি। তার আগেই কেশপুর হাইস্কুল মাঠের সভাস্থলে পৌঁছন তমলুকের সাংসদ শুভেন্দু। টানা বৃষ্টির মধ্যেও হাজার দশেকের জমায়েত (পুলিশের হিসেবে) তখন সেখানে। অভিষেক মঞ্চে ওঠামাত্র শুভেন্দু হাত বাড়িয়ে দেন। দু’জনে করমর্দন করে পাশাপাশি বসেন। কিছুক্ষণ কথাও হয় তাঁদের।

এ দিন দু’টি সভাতেই অভিষেকের নিশানায় ছিল সিপিএম-বিজেপি-কংগ্রেস এবং সংবাদমাধ্যম। তাঁর দাবি, ‘‘কংগ্রেসের অধীর চৌধুরী, বিজেপি-র রাহুল সিংহ বা সিপিএমের বিমান বসু, সূর্যকান্তবাবুরা পরস্পরের বিরুদ্ধে কথা বলেন না। সবাই মিলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কুৎসা ও অপপ্রচার করে বাংলাকে অশান্ত করার চেষ্টা করছেন। কিন্তু বাংলার মানুষ এই ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করতে জানে।’’

নাম না করে অভিষেকের কটাক্ষ, ‘‘মিটিং করে আর সংবাদমাধ্যমে তৃণমূলের বিরুদ্ধে কথা বলে রাতারাতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হওয়া যায় না। এখন যাঁরা নারী নির্যাতন নিয়ে সরব, তাঁদের কিন্তু নন্দীগ্রাম-সিঙ্গুর-নেতাই পর্বে দেখা যায়নি।’’ কেশপুরের সভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং সংবাদমাধ্যমকেও তিনি আক্রমণ করেন।

কেশপুর ও পাঁশকুড়া— দু’টি এলাকাই ঘাটাল লোকসভার অন্তর্গত। দু’জায়গাতেই অভিষেকের সঙ্গী ছিলেন ঘাটালের সাংসদ দেব। পাঁশকুড়ার সভায় অবশ্য শুভেন্দু ছিলেন না। দেখা যায়নি তৃণমূলের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সভাপতি শিশির অধিকারীকেও।

সে প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, ‘‘মেদিনীপুরে বিদ্যাসাগর সমবায় ব্যাঙ্কের কাজে ব্যস্ত থাকায় পাঁশকুড়ায় যেতে পারিনি। ২১ জুলাইয়ের প্রস্তুতি-সভা রাজ্য জুড়ে হচ্ছে। সবাই কি সব জায়গায় থাকতে পারে?’’ আজ, শুক্রবার ২১শে জুলাইয়ের সমাবেশের সমর্থনে বেলপাহাড়িতে সভা করার কথা রয়েছে অভিষেক ও শুভেন্দুর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE