সোমবার দক্ষিণ কলকাতায় বিজেপি-র মিছিল ঘিরে দফায় দফায় গোলমাল হল। মিছিল লক্ষ্য করে তৃণমূলকর্মীরা ইট ছোড়ে বলে অভিযোগ বিজেপি-র। বিজেপি কর্মীরাও পাল্টা হামলা চালায়। সব মিলিয়ে একটা সময়ে গোলমাল বড় আকার নেয়। কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। গোলমালের পরে পরেই ঘটনাস্থলে যান রাজ্যের দুই মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় ও অরূপ বিশ্বাস। তাঁদের দাবি, বিজেপি-ই আগে হামলা করেছে। প্রসঙ্গত, যে এলাকায় গোলমাল হয়েছে, শোভনদেব ওই এলাকার বিধায়কও। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, মঙ্গলবার একই রুটে একটি ‘প্রতিবাদ মিছিল’ করবে তৃণমূল।
সোমবার টালিগঞ্জ ট্রাম ডিপো থেকে বিকেল সাড়ে ৩টে নাগাদ শুরু হয় বিজেপি-র মিছিল। মিছিলে একটি সুসজ্জিত ট্যাবলোয় দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারী ছাড়াও ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী। মিছিল রাসবিহারীর দিকে যাওয়ার পথে বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ গোলমাল শুরু হয় মুদিয়ালি এলাকায়। মিছিল দেশপ্রাণ শাসমল রোডের কাছে যেতেই হঠাৎ রাস্তার উল্ দিক থেকে ইট ছোড়া শুরু হয়। যারা ইট ছুড়ছিল, তাদের হাতে তৃণমূলের পতাকা দেখা গিয়েছে বলে অভিযোগ। সঙ্গে শোনা যায় ‘বিজেপি হটাও’ স্লোগানও। শুধু রাস্তার অপর পার থেকেই নয়, পাশের একটি বহুতল থেকেও ইট পড়তে থাকে মিছিলের উপরে। ইটের আঘাতে কেউ জখম না হলেও পাল্টা হামলা চালায় বিজেপি কর্মীরা। লাঠিসোটা নিয়ে গলির মধ্যে ঢুকে ‘অভুযুক্ত’দের ধাওয়া করে তারা। রাস্তার পাশে থাকা বেশ কিছু বাইকও ভাঙচুর করে তারা।
মিছিলে ইটবৃষ্টি এবং পাল্টা হামলা নিয়ে যখন গোলমাল চলছে, তখন আশপাশে সে ভাবে পুলিশকে দেখা যায়নি। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে চলে আসে বিশাল পুলিশবাহিনী। অল্প সময়ের মধ্যেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে তারা। এর পর মোটামুটি নির্বিঘ্নেই মিছিল পৌঁছয় রাসবিহারী মোড়ে। সেখান থেকে শুভেন্দু এবং দিলীপ— দু’জনেই ওই হামলার নিন্দা করেন। শুভেন্দু বলেন, ‘‘যত ইট ছুড়বে, তত সাফ হয়ে যাবে তৃণমূল!’’