বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ফাইল চিত্র।
রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস ‘প্রত্যাশিত’ ভূমিকা না নিলে সংবিধান মেনে তাঁর সম্পর্কেও ‘উপযুক্ত’ জায়গায় অভিযোগ জানাবেন বলে মন্তব্য করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তবে জনসভায় দাঁড়িয়ে বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে তাঁর ‘আশ্বাস’, ‘‘রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রীর বেআইনি কাজের সঙ্গ দেবেন না।’’ সেই সঙ্গেই মঙ্গলবার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও উপাচার্যের সঙ্গে বৈঠক নিয়েও শাসক শিবিরকে কটাক্ষ করেছেন শুভেন্দু।
দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের বিরুদ্ধে নিয়ম করে ‘পক্ষপাতিত্বে’র অভিযোগ তুলেছে শাসক তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু নতুন রাজ্যপাল আনন্দ বোস দায়িত্ব নেওয়ার পর সে ছবিতে বাহ্যিক বদল এসেছে। বরং তা নিয়ে এ বার বিজেপি শিবিরের অসন্তোষের আভাস মিলেছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর বক্তব্যে। রাজভবনের ওই বৈঠক শেষে শিক্ষামন্ত্রী ও উপাচার্যদের পাশে রাজ্যপালের উপস্থিতি প্রসঙ্গে বুধবার এগরায় এক দলীয় সভায় তিনি বলেন, ‘‘সংবিধানের রক্ষক হচ্ছে বিচারব্যবস্থা আর রাজভবন। রাজ্যের পীড়িত জনগণের মনে রাজ্যপালের স্বচ্ছ ভাবমূর্তি রয়েছে। তা নষ্ট করতে নাটক করা হয়েছে। রাজ্যপালের থাকা উচিত ছিল না।’’
বিরোধী দলনেতার এই মন্তব্যের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বলেন, ‘‘রাজ্যপালের সঙ্গে আমার ওই সাক্ষাতের কোনও রাজনৈতিক কারণ ছিল না। তাই এ নিয়ে কোনও রাজনৈতিক প্রশ্নের জবাব দেব না।’’ তবে সেই সঙ্গেই তাঁর খোঁচা, ‘‘বিরোধী দলনেতাও যান না রাজ্যপালের কাছে। ঠিক ওই রকম ভাবে তাঁকে পাশে নিয়ে মানুষের সামনে এসে দেখান না।’’
শিক্ষামন্ত্রী ছাড়াও রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠকে ছিলেন সব উপাচার্য ও শিক্ষা দফতরের প্রধান সচিব। তাঁদের নিয়োগ ও স্বচ্ছতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধী দলনেতা। তাঁর অভিযোগ, আটকে থাকা বেআইনি বিলগুলি পাশ করাতেই ব্রাত্যকে পাঠিয়ে নাটক করেছে তৃণমূল সরকার। শুভেন্দুর কথা, ‘‘এই রাজ্যপালের চলার পথ আলাদা হতে পারে। তবে, গত তিন মাস ধরে একটি বেআইনি, সংবিধান বহির্ভূত বিলও তিনি ছাড়েননি। আগামীদিনেও ছাড়বেন না।’’ জবাবে ব্রাত্য অবশ্য বলেন, ‘‘রাজ্যপালের আচরণ রাজ্যপালের মতো হোক, তা বিজেপি চায় না। রাজ্যের কোনও বিলই বেআইনি নয়। তাই এরই বা কী জবাব দেব?’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy