মেদিনীপুর পুরসভার পুরপ্রশাসক বোর্ডের সদস্যপদ থেকে তাঁকে সরিয়ে দিয়েছিল রাজ্য সরকার। তা নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। আশঙ্কা ছিল, মেদিনীপুর জেলা পরিষদের মেন্টর পদ থেকেও তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে। তবে ‘আত্মসম্মান’ বজায় রাখতে তার আগেই ওই পদ থেকে ইস্তফা দিলেন শুভেন্দু অনুগামী বলে পরিচিত তৃণমূল নেতা প্রণব বসু। মঙ্গলবার দুপুরে জেলা পরিষদে গিয়ে নিজের ইস্তফাপত্র জমা দিয়েছেন তিনি। ঘটনাচক্রে, মেদিনীপুরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের ৭ ডিসেম্বরের সভার আগেই সরলেন প্রণব। তবে এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করেননি জেলার তৃণমূল নেতারা।
মঙ্গলবার প্রণব বলেন, “যেহেতু পুরসভা থেকে কোনও কিছু না জানিয়েই আমাকে সরানো হয়েছে, তাই জেলা পরিষদের মেন্টর পদ থেকেও যে কোনও মুহূর্তে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে। তাই অপমানিত না হতে চেয়ে নিজের থেকে ইস্তফাপত্র জমা দিয়েছি।”
মঙ্গলবার দুপুরে একটি ভাড়া করা গাড়িতে জেলা পরিষদ চত্বরে পৌঁছন প্রণব। তবে সভাধিপতি বা জেলা পরিষদের সচিবের সঙ্গে দেখা না করেই তিনি সটান চলে যান বড়বাবুর চেম্বারে। সেখানে গিয়ে তাঁর ইস্তফাপত্র খামবন্দি অবস্থায় জমা দেন। প্রণব বলেন, “১৮ নভেম্বর মেদিনীপুর পুরসভার পুরপ্রশাসক বোর্ডের সদস্যপদ থেকে সরিয়ে দেয় রাজ্য সরকার। আমাকে যে ওই পদ থেকে সরানো হচ্ছে, তার আগাম কোনও খবর পাইনি। পুরসভা সূত্রে জানতে পারি, আমাকে অব্যাহতি দিয়েছে রাজ্য় প্রশাসন।”
আরও পড়ুন: ‘বহিরাগত’ নয়, প্রার্থী করা হোক স্থানীয়দের, বালিতে পোস্টার, নিশানায় বৈশালী ডালমিয়া?
আরও পড়ুন: বিজেপির মিছিলে বোমা বন্দুক নিয়ে হামলার অভিযোগে উত্তাল খেজুরি