স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শুভেন্দু অধিকারী। ফাইল চিত্র।
বিধানসভার বাজেট অধিবেশনে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনতে পারে বিজেপি। সোমবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সংবাদমাধ্যমকে জানান, এ বিষয়ে বিজেপির পরিষদীয় দল আলোচনা করবে। তার পরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
ঘটনার সূত্রপাত বিজেপির মুলতুবি প্রস্তাব আনাকে কেন্দ্র করে। সোমবার বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে মুলতুবি প্রস্তাব আনে বিজেপি। বিজেপির তরফে অভিযোগ করা হয়, নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত রয়েছে রাজ্যের মন্ত্রিসভা। বিরোধী দলনেতা জানান, অযোগ্য চাকরিপ্রাপকদের পদে বহাল রাখার জন্য শূন্যপদ তৈরিতে সায় দিয়েছিল রাজ্য মন্ত্রিসভা। এ বিষয়ে আলোচনার দাবি জানান তিনি। কিন্তু বিষয়টি আদালতের বিচারাধীন, এই যুক্তি দেখিয়ে প্রস্তাব খারিজ করে দেন স্পিকার।
এর পরই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা। যার জেরে সপ্তাহের শুরুতেই তপ্ত বিধানসভার অধিবেশন কক্ষ। পরে বিধানসভা থেকে ওয়াক আউট করেন বিজেপি বিধায়করা। বিরোধী দলনেতা পরে সংবাদমাধ্যমকে জানান, মুলতুবি প্রস্তাবের প্রস্তাবক হিসাবে নাম ছিল পদ্ম শিবিরের বিধায়ক গোপাল সাহা, হিরণ চট্টোপাধ্যায়-সহ মোট ৪ জনের।
স্পিকার এই ৪ জনের বক্তব্য শুনতে চান। বিরোধী দলনেতার দাবি, ৪ জন যখন বিধানসভায় স্লোগান দিচ্ছিলেন, বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন, তখন স্পিকার তাঁদের বলতে বলেন। একই সঙ্গে তাঁর দাবি, সে সময় বিধানসভায় আলোচনার পরিবেশ ছিল না। প্রকারান্তরে তিনি বুঝিয়ে দেন, সভার শৃঙ্ক্ষলারক্ষায় ব্যর্থ হয়েছেন স্পিকার। স্পিকার ৪ জনের নাম বলার পরেও কেউ বক্তব্য রাখেননি। এরপরই ‘রুষ্ট’ স্পিকার তাঁর নির্দেশে জানিয়ে দেন, এই ৪ জন অধিবেশনের পরবর্তী ২ দিন কোনও প্রস্তাব আনতে পারবেন না। প্রস্তাবে স্বাক্ষরও করতে পারবেন না।
বিরোধী দলনেতার দাবি, এ কাজ স্পিকারের ‘এক্তিয়ার বহির্ভূত’। তিনি এ-ও জানান যে, মন্ত্রিসভা বিধানসভার কাছে দায়বদ্ধ। তাই বিচারাধীন বিষয়ের যুক্তিতে মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত নিয়ে বিধানসভায় আলোচনা করা আটকানো যায় না। এই প্রেক্ষিতেই নন্দীগ্রামের বিধায়কের হুঁশিয়ারি, স্পিকার এমন ভূমিকা নিতে থাকলে তাঁরা বাজেট অধিবেশনে তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনতে বাধ্য হবেন। তবে এ বিষয়ে আলোচনার পরেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy