Advertisement
E-Paper

ভাড়া বাড়াতে ট্যাক্সি ধর্মঘটের হুমকি, বাস উঠেই যাবে-বলছেন মালিকরা 

একই সঙ্গে ওই দিনই রাজ্যে পেট্রোল পাম্প ধর্মঘট হতে চলেছে। ভাড়া জোর করে না বাড়াতে দিলে অচিরেই বাস শিল্পের মৃত্যু ঘটবে

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ মে ২০১৮ ১৮:১৭
— প্রতীকী ছবি।

— প্রতীকী ছবি।

ডিজেলের রেকর্ড মূল্যবৃদ্ধিতে জোর ধাক্কা পরিবহণ শিল্পে। গত ১০ দিনে জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে ৯ বার। কলকাতায় ডিজেলের দাম ৭০-এর ঘর ছাড়িয়েছে!পেট্রোল ৮০ ছুঁই ছুঁই!

জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ইতিমধ্যেই ‘অল ইন্ডিয়া মোটরস কংগ্রেস’ দেশজুড়ে আগামী ১৮ জুন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে।এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়েছে ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রাক অপারেটার্স ওয়েলফেয়ার’, ‘ফেডারেশন অব ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রাক অপারেটার্স অ্যাসোসিয়েশন’-সহ ভারী পণ্যপরিবহণ সংগঠনগুলি।একই সঙ্গে ওই দিনই রাজ্যে পেট্রোল পাম্প ধর্মঘট হতে চলেছে।

ধর্মঘটে সামিল না হলেও, ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বেঙ্গল বাস সিন্ডিকেটের পক্ষে তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমাদের ধর্মঘট ডাকতে হবে না। এমনিতেই বাস, মিনিবাস বসে যাবে। ন্যূনতম ৬ টাকা ভাড়ায় আর বাস চালানো সম্ভব নয়। দীর্ঘদিন ধরেই ভাড়াবৃদ্ধির দাবি জানিয়ে আসছি।’’ তিনি আরও জানান, বহুবার পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর উপস্থিতিতে বৈঠক হয়েছে। তার পরেও রাজ্য সরকার কোনও সমাধানসূত্র বের করতে আগ্রহী হচ্ছে না। গত কয়েক বছরে গাড়ির যন্ত্রাংশ, জ্বালানি, সিএফ-এর খরচ কয়েকগুণ বেড়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘বাসের ভাড়া ন্যূনতম ১০ টাকা হওয়া উচিত। সরকারি বাসেরও ন্যূনতম ভাড়া ৭ টাকা।তাহলে আমরা বঞ্চিত হব কেন?ভাড়া জোর করে না বাড়াতে দিলে অচিরেই বাস শিল্পের মৃত্যু ঘটবে।”

যদিও ট্রাক সংগঠনগুলির মতোই ধর্মঘটের পথেই হাঁটতে চাইছেন ট্যাক্সি চালকদের দু’টি সংগঠন,‘ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্যাক্সি অপারেটার্স কো-অর্ডিনেশন কমিটি’, ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্যাক্সি ওয়ার্কস ফেডারেশন’। এই দু’টি সংগঠনের পক্ষে নওয়ালকিশোর শ্রীবাস্তব বলেন, “আমরা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি। আগামী ১২ জুন পর্যন্ত অপেক্ষা করব। তার পরেও যদি এই অবস্থা থাকে, তাহলে ১৮ জুন ধর্মঘটে সামিল হব।ওই দিন কেউ গাড়ি চালাবে না।’’ তিনি আরও বলেন,‘‘ভাড়াবৃদ্ধির প্রতিবাদে রাজ্য পরিবহণ দফতর অভিযানেও সামিল হবেন ট্যাক্সি চালকেরা।আমাদের দাবি, ২৫ থেকে ট্যাক্সির ন্যূনতম ভাড়া করা হোক ৩৫ টাকা।বেসরকারি ক্যাব সংস্থাগুলি লাগাম ছাড়া টাকা নিচ্ছে। সেক্ষেত্রে কোনও সরকারি নেই। এই অবস্থায় সরকার কিছু ভাবনাচিন্তা না করলে, ডিজেল, পেট্রলের মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে তালমিলিয়ে চলা সম্ভব হবে না।”

ট্রাক এবং লরি চালকদের গলাতেও একই সুর। তাঁদের বক্তব্য, ‘‘যেভাবে ডিজেলের দাম নিয়ন্ত্রণহীনভাবে বাড়ছে, তাতে খাদ্যপণের মূল্যবৃদ্ধি হবেই।তার উপর পুলিশের জুলুম তো রয়েইছে। এই অবস্থায় গাড়ি চালানো প্রায় অসম্ভব।’’

‘ফেডারেশন অব ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রাক অপারেটার্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর সাধারণ সম্পাদক পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, “লরি বা ট্রাকে মূলত পণ্যপরিবহণ হয়ে থাকে।ডিজেলের দাম বাড়ালে প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়বেই। সেকারণেই আমরা ধর্মঘটে সামিল হয়েছি।”

petrol pump strike bus strike price hike
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy