Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

লোগো পোস্ট করে অস্বস্তিতে শিক্ষকরা

সোশ্যাল মিডিয়ার নানা কুপ্রভাব থেকে পড়ুয়াদের বাঁচাতে রাজ্যের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। অথচ যাচাই না করা একটি খবর ছড়িয়ে লজ্জায় পড়ে গেলেন রাজ্যের শিক্ষকদেরই একাংশ।

এই লোগোই ছড়িয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়।

এই লোগোই ছড়িয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি ও কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ অক্টোবর ২০১৭ ০৩:১০
Share: Save:

শুধু পড়ুয়ারাই নয়। সোশ্যাল মিডিয়ার ভুল ব্যবহারে এ বার অস্বস্তিতে শিক্ষকরাও।

সোশ্যাল মিডিয়ার নানা কুপ্রভাব থেকে পড়ুয়াদের বাঁচাতে রাজ্যের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। অথচ যাচাই না করা একটি খবর ছড়িয়ে লজ্জায় পড়ে গেলেন রাজ্যের শিক্ষকদেরই একাংশ।

সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্কুল— বিভিন্ন স্তরের শিক্ষকদের ফেসবুক প্রোফাইলে দেখা গিয়েছে একটি লোগো। সঙ্গে লেখা, ডাক্তারদের মতো শিক্ষকরাও ওই বিশেষ লোগোটি গাড়িতে ব্যবহার করতে পারবেন। এর পরেই শিক্ষকদের একাংশ উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন। ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এই বার্তা। যা পেয়ে খুশি হন বহু শিক্ষক। তাঁদের অনেকেই এ নিয়ে ফেসবুকে নানা বক্তব্য লেখা শুরু করেন।

কেন্দ্রের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক থেকে জানানো হয়েছে, সর্বোচ্চ আদালত থেকে এমন নির্দেশিকা আসেনি। রাজ্যের স্কুলশিক্ষা দফতরেও খোঁজ নিয়ে জানা গেল, কেন্দ্র থেকে এমন বিজ্ঞপ্তিই আসেনি। এই লোগোর সত্যতা নিয়েই প্রশ্ন তোলে তারা। তার পরেই টনক নড়ে ওই সমস্ত শিক্ষকের।

ফেসবুকে লোগোটি শেয়ার করেছিলেন এ রকমই এক শিক্ষক তথা বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সহ-সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন, ‘‘আমিও ফেসবুক থেকে পেয়ে শেয়ার করেছিলাম। বাস্তব ভিত্তি ছিল কি না, দেখা হয়নি। যদিও জানতাম, এটা হতে গেলেও একটা পদ্ধতি অবলম্বন করতে হয়।’’ একই ভাবে ফেসবুকে এই লোগো পোস্ট করেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের শিক্ষক আশিস দাস। তিনি বলেন, ‘‘পোস্ট করেছিলাম। পরে সত্যতা না থাকায় মুছে দিয়েছি।’’ তাঁর মন্তব্য, ‘‘এ রকম একটি লোগো থাকা উচিত।’’ শিক্ষকদের একাংশের দাবি, পঞ্জাবের কোনও এক সংস্থা এই লোগো তৈরি করে ছেড়ে দিয়েছে। প্রথমে তাঁরা সেটা বুঝতে পারেননি।

প্রশ্ন উঠেছে, সোশ্যাল মিডিয়ার গুজব থেকে পড়ুয়াদের বাঁচাতে যাঁরা গুরুদায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছেন, তাঁরাই এমন ভুয়ো খবরের খপ্পরে পড়লেন কী করে? বিষয়টির সত্যতা যাচাই না করে কেন এই বার্তা প্রচারে নেমেছিলেন শিক্ষকদের একাংশ?

এ সব প্রশ্নের উত্তর কেউ দেননি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE