Advertisement
E-Paper

সরকারি স্কুলে শিক্ষকের আকাল, সরব সংগঠন

বিকাশ ভবনের এক কর্তা জানান, পিএসসি-তে শূন্যপদের তালিকা পাঠানো হয়েছে। বিআরজিএফ ও মডেল স্কুলে প্রায় তিনশো শিক্ষক নিয়োগ হলেও সাধারণ সরকারি স্কুলে সেই প্রক্রিয়া এখনও শুরু হয়নি। দ্রুত সেই কাজ চলছে।

মধুমিতা দত্ত ও সুপ্রিয় তরফদার

শেষ আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০১৮ ০১:৫৯
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

সরকার পোষিত ও সাহায্যপ্রাপ্ত মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলে শিক্ষক নিয়োগের জন্য কাউন্সেলিং ও নিয়োগ শুরু হয়েছে। কিছু জটিলতায় আটকে রয়েছে উচ্চ প্রাথমিক স্তরে শিক্ষক নিয়োগ। এর মধ্যেই সরকারি স্কুলে শিক্ষকের আকাল নিয়ে সরব হল সরকারি স্কুলের শিক্ষক সংগঠন। যদিও স্কুলশিক্ষা দফতর জানাচ্ছে, ইতিমধ্যেই শূন্যপদের তালিকা পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি)-এ পাঠানো হয়েছে। কিছু স্কুলে নিয়োগ শুরু হয়েছে, কিছু স্কুলে নিয়োগের প্রক্রিয়া শীঘ্রই শুরু হবে।

এ রাজ্যে পুরনো সরকারি স্কুল রয়েছে ৪১টি। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ব্যাকওয়ার্ড রিজিয়ন গ্র্যান্ট ফান্ডের (বিআরজিএফ) ৪০টি ও ইংরেজি মাধ্যমের ৬৭টি মডেল স্কুল। তবে এই ১৪৮টি স্কুলের মধ্যে চলছে ১২৪টি স্কুল। সর্বত্রই শিক্ষকের ঘাটতি রয়েছে বলে দফতরে অভিযোগ জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারি স্কুল শিক্ষক সমিতি। খাস কলকাতায় হিন্দু-হেয়ারের মতো স্কুলেও শিক্ষকের পদ ফাঁকা। পঠনপাঠন ঠিক ভাবে করতে গেলে অবিলম্বে শিক্ষক নিয়োগ প্রয়োজন বলে দাবি করেছে তারা।

বিকাশ ভবনের এক কর্তা জানান, পিএসসি-তে শূন্যপদের তালিকা পাঠানো হয়েছে। বিআরজিএফ ও মডেল স্কুলে প্রায় তিনশো শিক্ষক নিয়োগ হলেও সাধারণ সরকারি স্কুলে সেই প্রক্রিয়া এখনও শুরু হয়নি। দ্রুত সেই কাজ চলছে।

সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৌগত বসু জানান, বহু শিক্ষক পদ খালি থাকায় অসুবিধা হচ্ছে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদ পূরণেও। এই বিষয়টি সম্পূর্ণ ভাবেই স্কুল শিক্ষা দফতরের হাতে। কিন্তু দফতরের দীর্ঘ টালবাহানায় সাতটি সরকারি স্কুলে এই পদ ফাঁকা। অথচ প্রায় ১৪-১৫ মাস আগেই এই পদে নিয়োগের ফাইল তৈরি হয়ে রয়েছে বলে সৌগতবাবুর দাবি।

শূন্যপদের খতিয়ান

সহ-প্রধান শিক্ষিকা, অঙ্ক (২), পদার্থবিদ্যা(২), ইংরেজি ইত্যাদি

সূত্রঃ পশ্চিমবঙ্গ সরকারি স্কুল শিক্ষক সমিতির তরফে স্কুল শিক্ষা দফতরে পেশ করা

সৌগতবাবুর দাবি, শিক্ষকের সংখ্যার উপরে বেশি জোর না দিয়ে সমস্ত বিষয়ের শিক্ষক রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। ধরা যাক, একটি স্কুলে বিজ্ঞানের সমস্ত বিষয়ের শিক্ষক রয়েছেন, কিন্তু বাংলার শিক্ষক কম। সে ক্ষেত্রে পঠনপাঠন সম্পূর্ণ হবে না। বেসরকারি স্কুলের সঙ্গে যে ভাবে প্রতিযোগিতা বাড়ছে, সেখানে সরকারি স্কুলে পড়ুয়া টানতে গেলে পরিকাঠামোর উন্নয়নের পাশাপাশি শিক্ষকের ঘাটতি মেটানো খুব প্রয়োজন। কলকাতার হিন্দু স্কুলেই ১১টি শিক্ষকের পদ ফাঁকা বলে জানাচ্ছেন সৌগতবাবু। বহু দিন পরে সম্প্রতি ওই স্কুলে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে।

বহু গ্রামাঞ্চলে এখনও স্কুলই পড়ুয়াদের একটা বড় অংশের প্রধান ভরসা। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও জেলার সরকারি স্কুলের মান ও সেখানকার পড়ুয়াদের মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিকের ফল নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তাই সেই সব স্কুলে শিক্ষকের ঘাটতি অবাঞ্ছিত বলেই মনে করছে শিক্ষা মহল। দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘আগামী শিক্ষাবর্ষের মধ্যে এই সমস্যা মিটিয়ে ফেলার জন্য সকলে মিলে চেষ্টা করা হচ্ছে।’’


School Teacher Scarcity Organisation
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy