আসন্ন নিয়োগে শূন্যপদের হিসাব ‘আপডেট’ করার দাবি তুললেন চাকরিহারা শিক্ষাকর্মীরা। তাঁদের বক্তব্য এতে আরও শূন্যপদ তৈরি হবে। ২০১৬ সালের নিয়োগ বাতিলের পরিপ্রেক্ষিতে গ্রুপ-সি এবং গ্রুপ-ডি পদের শিক্ষাকর্মীদের নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)। সোমবার শিক্ষাকর্মীদের এই শূন্যপদের লিঙ্গভিত্তিক, জাতিভিত্তিক, স্কুলের মাধ্যম ভিত্তিক শূন্যপদ কত তার বিস্তারিত তালিকাও প্রকাশ করেছে এসএসসি। গ্রুপ-সি গোত্রে শূন্যপদ ২৯৮৯ এবং গ্রুপ-ডি গোত্রে শূন্যপদ ৫,৪৮৮। যদিও চাকরিহারাদের দাবি, এ বার গ্রুপ-সি পদে তফসিলি জাতির সংরক্ষিত শূন্যপদের সংখ্যা ২০১৬ সালের থেকে অনেক কম।
চাকরিহারা গ্রুপ-সি পদের শিক্ষাকর্মী অমিত মণ্ডল বলেন, ‘‘২০১৬ সালের যোগ্য চাকরিহারা তফসিলি জাতিভুক্ত শিক্ষাকর্মীরা প্রায় সবাই ফের পরীক্ষা দেবেন। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, তফসিলি জাতির শূন্যপদ এত কম যে পাশ করলেও সকলে চাকরি পাবেন না। তা হলে পরীক্ষা দিয়ে লাভ কী? আমাদের আবেদন, তফসিলি জাতির শূন্যপদ বাড়ানো হোক।’’ অমিতদের আরও দাবি, আঞ্চলিক হিসাবেও শূন্যপদ কমেছে। তা বাড়ানো হোক। শূন্যপদের সংখ্যা বাড়ানো নিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি শিক্ষা দফতর।
শিক্ষাকর্মীদের দাবি, নিয়োগ প্রক্রিয়া কবে শেষ হবে, তা-ও নির্দিষ্ট ভাবে জানাতে হবে এসএসসি-কে। এসএসসি আগে জানিয়েছিল যে আগামী জানুয়ারি মাসে শিক্ষাকর্মী নিয়োগের পরীক্ষা হতে পারে। তবে পরীক্ষার পরে নিয়োগ কবে হবে, তা শিক্ষা দফতরকে জানাতে হবে। প্রসঙ্গত, আগামী বছর ভোট। ভোট ঘোষণার আগে যাতে নিয়োগ শেষ হয়, সেই দাবিও তুলেছেন চাকরিহারারা।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)