দাদার বন্ধুর সঙ্গে ফোনে পরিচয়। সেই পরিচয় থেকে তাঁর সঙ্গে প্রেমের শুরু কিশোরীর। তবে মাত্র ১৫ দিনের সে প্রেম আসলে ‘ফাঁদ’ ছিল। সেই ‘প্রেমের ফাঁদে’ পা দিয়েই গণধর্ষণের শিকার হতে হল ওই কিশোরীকে। ভাতার থানায় এই অভিযোগ করেছেন কিশোরীর মামা। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার সাহিরুদ্দিন চৌধুরীকে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সাহিরুদ্দিনের সঙ্গী তথা অপর অভিযুক্ত শেখ মহম্মদ আমির ওরফে শেখ ফজল পলাতক।
কিশোরীর মামার অভিযোগ, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ফোন করে তাঁর ভাগ্নিকে ডেকেছিল সাহিরুদ্দিন। তার পর তাঁকে টোটোয় চাপিয়ে নিয়ে যান একটি নির্জন মাঠে। সেখানেই এক যুবকের সঙ্গে মিলে তাঁর ভাগ্নিকে ধর্ষণ করেন সাহিরুদ্দিন।
পুলিশ সূত্রে খবর, পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের বলগোনা গ্রামের বাসিন্দা সাহিরুদ্দিন এবং শেখ ফজলের বিরুদ্ধে ১৭ বছরের স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ওই ছাত্রীর সঙ্গে দিন পনেরো আগে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল ১৯ বছরের সাহিরুদ্দিনের। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কিশোরীকে ফোনে ডেকে এনে টোটোয় চাপিয়ে আমারুণ গ্রামের কাছে মাঠের ধারে নিয়ে গিয়েছিলেন সাহিরুদ্দিন। সেখানে ফজলের সঙ্গে মিলে কিশোরীকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। এর পর কিশোরীকে ওই মাঠেই ফেলে পালিয়ে যান তাঁরা।