Advertisement
E-Paper

বিজেপি-র হনুমানজয়ন্তীর মিছিল ঘিরে সিউড়িতে ধুন্ধুমার, পুলিশের লাঠি

হনুমানজয়ন্তীর মিছিল ঘিরে বড়সড় অশান্তি সিউড়িতে। পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙা, ধাক্কাধাক্কি, বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের উপর পুলিশের লাঠিচার্জ— সব মিলিয়ে মঙ্গলবার সকালে রীতিমতো ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে গেল বীরভূমের সদর শহরে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ এপ্রিল ২০১৭ ১৪:৫৭
সিউড়ি বাসস্ট্যান্ডে ব্যারিকেড ভাঙছেন মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা। ছবি: তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়।

সিউড়ি বাসস্ট্যান্ডে ব্যারিকেড ভাঙছেন মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা। ছবি: তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়।

হনুমানজয়ন্তীর মিছিল ঘিরে বড়সড় অশান্তি সিউড়িতে। পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙা, ধাক্কাধাক্কি, বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের উপর পুলিশের লাঠিচার্জ— সব মিলিয়ে মঙ্গলবার সকালে রীতিমতো ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে গেল বীরভূমের সদর শহরে।

এ দিন সকাল থেকেই সিউড়ি-সহ আশাপাশের এলাকা থেকে মিছিলের জন্য জড়ো হতে থাকেন দলীয় কর্মী-সমর্থকরা। জেলা বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, ওই মিছিলে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষেরও যোগ দেওয়ার কথা ছিল। তবে পুলিশের পরামর্শেই তিনি এ দিন আসেননি। রাজ্য বিজেপি-র অন্যতম সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু বলেন, “এখানে প্রধান অতিথি হিসাবে দিলীপ ঘোষের আসার কথা ছিল। পুলিশ-প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, ‘আপনি আসবেন না। তাতে পরিস্থিতি বিগড়োতে পারে।’ সেই দাবি মেনেই দিলীপ ঘোষ এখানে আসেননি।”

আরও পড়ুন

আমাদের পশ্চিমবঙ্গে এই রাম-রহিম যুদ্ধ ছিল না!

মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশের লাঠিচার্জ। ছবি: তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়।

এ দিন গেরুয়া পতাকা হাতে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দিতে দিতে সিউড়ির দিকে এগোতে থাকে কয়েক হাজার মানুষের মিছিল। কড়িধ্যা ও তিলপাড়া পঞ্চায়েত থেকেও শহরে ঢুকতে থাকেন মানুষজন। তবে ওই দুই এলাকাতেই মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। সিউড়ির বাসস্ট্যান্ডের কাছে মাদ্রাসা রোডের দিকে এগোতে গেলে সেখানেও বাধা পায় মিছিল। পুলিশ আগে থেকেই সেখানে ব্যারিকেড করে রেখেছিল। সেই ব্যারিকেড ভেঙে মিছিল এগোতে গেলে পুলিশের সঙ্গে সংঘাত বাধে। অভিযোগ, পুলিশ ও র‌্যাফ বাহিনীকে ধাক্কা দিয়ে এগোতে চান বিজেপি কর্মী-সমর্থকের একাংশ। তখনই লাঠিচার্জ করে পুলিশ। সঠিক সংখ্যা জানা না গেলেও তাতে আহত হয়েছেন বেশ কয়েক জন বিজেপি কর্মী-সমর্থক। তবে পরিস্থিতি দ্রুতই নিয়ন্ত্রণে চলে আসে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

হনুমানজয়ন্তীর মিছিলে ঘোষণা ছিল আগে থেকেই। বিজেপি-র দাবি, তা নিয়ে পুলিশ-প্রশাসনের অনুমতিও চাওয়া হয়েছিল। এমনকী, প্রশাসনের তরফে প্রাথমিক ভাবে সে অনুমতি নাকি মিলেওছিল। তবে পরে তা নাকচ করে দেওয়া হয়। তবে পুলিশের পাল্টা দাবি, অনুমতি না নিয়েই এই মিছিল করা হয়েছে। কিন্তু কেন অনুমতি দেওয়া হয়নি? পুলিশের দাবি, সিউড়ি বাসস্ট্যান্ড থেকে মাদ্রাসা রোড ধরে মিছিল এগোনোর কথা ছিল। যে সব এলাকায় অশান্তি বাঁধতে পারে আশঙ্কা করেছে পুলিশ, সে সব এলাকায় আগাম সতর্কতা হিসাবেই মিছিল ঢোকার অনুমতি দেওয়া হয়নি।

Tension Suri Hanuman Jayanti Celebration Procession BJP
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy