ফাইল চিত্র।
চৈত্রের প্রথমার্ধ জেলেই কাটাবেন প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার আদালত পার্থকে জানিয়েছেন আরও সাত দিন অর্থাৎ ৩০ মার্চ পর্যন্ত জেলেই থাকতে হবে পার্থকে। ৩০ মার্চ অর্থাৎ বাংলা ক্যালেন্ডারে ১৫ চৈত্র। তার ১৫ দিন পরেই নতুন বছর। বাংলা বছরের শেষ ঋতুর শেষ পর্যায় চলছে আপাতত। তবে পার্থকে এখনও জেলেই থাকতে হবে। পার্থের সঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতির অন্যান্য অভিযুক্ত সুবীরেশ ভট্টাচার্য, অশোক সাহা, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়েরাও জেল হেফাজতে থাকবেন ৩০ মার্চ পর্যন্ত। অন্য দিকে কুন্তল ঘোষ, তাপস মণ্ডল, নিলাদ্রী ঘোষেদের আদালত ৬ এপ্রিল পর্যন্ত এবং শান্তিপ্রসাদ সিন্হাকে ২৭ মার্চ পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আলিপুরের বিশেষ আদালত।
গত বর্ষায় গ্রেফতার হয়েছিলেন পার্থ। তার পর থেকে বন্দিজীবন কাটিয়ে ফেলেছেন আট মাস। বৃহস্পতিবার আদালতে সেই আট মাসের হিসাব দিয়ে পার্থ বলেছিলেন, ‘‘মনে হচ্ছে অন্ধকার গুহার মধ্যে রয়েছি।’’ জামিনের আর্জি করে বলেছিলেন, ‘‘শুধু কি রাজনৈতিক নেতারাই প্রভাবশালী? আমি কলকাতায় বড় হয়েছি, আমার একটা বংশপরিচয় আছে। আমি কোথায় চলে যাব?’’ বিচারকের কাছে নিজের কথা বলার জন্য বৃহস্পতিবার পাঁচ মিনিট সময় পেয়েছিলেন পার্থ। সেই পাঁচ মিনিটে আত্মপক্ষ সমর্থনে দীর্ঘ আর্জি জানান পার্থ। একই সঙ্গে বলেন, ‘‘আমার আশা, সত্যের জয় হবে। আইনের উপর আমার আস্থা আছে।’’ কিন্তু পার্থের সেই আবেদনে শেষপর্যন্ত সাড়া মেলেনি। পার্থকে আরও সাত দিন জেল হেফাজতেরই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
বৃহস্পতিবার নিয়োগ মামলায় আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতে শুনানি ছিল পার্থ-সহ সাত অভিযুক্তের। আদালতে ঢোকার মুখে সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খোলেন তাপসও। মামলা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তাপস বলেন, ‘‘ম্যাজিশিয়ান কুন্তলকে জিজ্ঞাসা করুন, ও সব জানে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy