E-Paper

২৫০ বিএড কলেজের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার মুখে

রাজারহাট এলাকার একটি বেসরকারি বিএড কলেজের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, তাঁদের কলেজে শিক্ষকের সংখ্যা কম। শিক্ষক নিয়োগের জন্য রাজ্য বিএড বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে তাঁরা তিন বার ইন্টারভিউয়ের আবেদন করেছেন।

আর্যভট্ট খান

শেষ আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০২৩ ০৭:৪৬

প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

আগামী ৪ নভেম্বর রাজ্যের বিএড কলেজের পুনর্নবীকরণের শেষ তারিখ। এই অবস্থায় আড়াইশোর মতো বেসরকারি বিএড কলেজ কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছেন, তাঁদের কলেজের পুনর্নবীকরণের অনুমতি দিচ্ছে না রাজ্য বিএড বিশ্ববিদ্যালয়।

ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার্স এডুকেশন (এনটিসিই)-এর নিয়ম অনুযায়ী, বিএড কলেজগুলিতে পড়ুয়া ও শিক্ষকের একটি নির্দিষ্ট অনুপাত বজায় রাখতে হবে। কলেজে শিক্ষক কম থাকলে চলবে না। অভিযোগ, যে সব কলেজে পর্যাপ্ত শিক্ষক নেই, তারা পুনর্নবীকরণের অনুমতি পাচ্ছে না।

অধ্যক্ষদের অভিযোগ, শিক্ষকের অভাবের জন্য তাঁরা দায়ী নন। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কারণে শিক্ষকেরা কলেজ ছেড়ে চলে যাওয়ার পরে শিক্ষক নিয়োগের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেও তাঁরা ইন্টারভিউয়ের তারিখ পাচ্ছেন না। এই পরিস্থিতিতে তাই অধ্যক্ষদের একাংশের আবেদন, পুনর্নবীকরণের সময়সীমা বাড়ানো হোক।

রাজারহাট এলাকার একটি বেসরকারি বিএড কলেজের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, তাঁদের কলেজে শিক্ষকের সংখ্যা কম। শিক্ষক নিয়োগের জন্য রাজ্য বিএড বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে তাঁরা তিন বার ইন্টারভিউয়ের আবেদন করেছেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকে কোনও সাড়া পাননি। কলেজের পুনর্নবীকরণ না হলে পরের শিক্ষাবর্ষে পড়ুয়া ভর্তি করা যাবে না। কলেজ কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, এখন বিএড পড়ার চাহিদা প্রচুর। ফলে পড়ুয়ারা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।

রাজ্য বিএড বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোমা বন্দ্যোপাধ্যায় এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গে মোট ৬০০টি বেসরকারি কলেজ এবং ২৪টি সরকারি। বেসরকারি সেই ৬০০টি কলেজের মধ্যে ৩৫০টি সমস্ত শর্ত পূরণ করেছে। সোমা জানান, সেই সমস্ত কলেজের পুনর্নবীকরণ হয়ে গিয়েছে। যারা পারেনি, তারা শেষ মুহূর্তে এসে জানাচ্ছে, কলেজে শিক্ষক কম। সোমার কথায়, ‘‘কেন এটা আগে বলেনি? এতগুলো কলেজ শেষ মুহূর্তে ইন্টারভিউয়ের তারিখ চাইলে সবাইকে কী ভাবে একই সময়ে ইন্টারভিউয়ের সময় দেওয়া হবে? তবু বিষয়টা আমরা খতিয়ে দেখছি।’’

সোমা জানিয়েছেন, পড়ুয়াদের স্বার্থেই তাঁদের এনসিটিই-র নিয়ম মানতে হবে। শিক্ষক কম থাকা অবস্থায় নতুন করে পড়ুয়া ভর্তি করলে পড়াশোনা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এনসিটিই শিক্ষক ও পড়ুয়ার যে অনুপাতের কথা বলেছে সেই অনুপাত ঠিক রেখে কলেজগুলি চালাতে হবে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

West Bengal

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy