Advertisement
১৮ মে ২০২৪
Chandannagar

রামমন্দির উদ্বোধনে বরাত চায় চন্দননগর

রামমন্দিরকে কেন্দ্র করে অযোধ্যায় পর্যটনের প্রসারে মন দিয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। ধনতেরস ও দীপাবলি উপলক্ষে সেখানে আলো ঝলমল করছে।

চন্দননগরের আলোয় সেজেছে অযোধ্যা।

চন্দননগরের আলোয় সেজেছে অযোধ্যা। —নিজস্ব চিত্র।

প্রকাশ পাল
চন্দননগর শেষ আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০২৩ ০৫:৪৫
Share: Save:

আগামী জানুয়ারিতে অযোধ্যায় রামমন্দিরের উদ্বোধন। সেই অনুষ্ঠান আলোয় সাজাতে চায় চন্দননগর। জগদ্ধাত্রী পুজোর এই শহর বরাবরই আলোকসজ্জায় অগ্রণী। সেখানকার আলো-শিল্পীদের কথায়, হুগলির গঙ্গাপাড়ের থেকে উত্তরপ্রদেশে গঙ্গাপাড়ের ‘রাম-রাজ্যে’ দীপাবলির সময়ে আলো যাচ্ছে কয়েক বছর ধরেই। এ বারেও গিয়েছে। রামমন্দির উদ্বোধনও তাঁদের বাহারি আলোয় সাজবে বলে শিল্পীদের একাংশ আশাবাদী।

রামমন্দিরকে কেন্দ্র করে অযোধ্যায় পর্যটনের প্রসারে মন দিয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। ধনতেরস ও দীপাবলি উপলক্ষে সেখানে আলো ঝলমল করছে। সেই আলো লাগিয়েছে চন্দননগরের বিদ্যালঙ্কার এলাকার একটি সংস্থা। সেটির কর্ণধার মনোজ সাহা জানান, গোটা পঁচিশ গেট, পথের ধারের আলো লাগানো হয়েছে। রামমন্দির থেকে কিছু দূরে, আলোর গেটেও তৈরি হয়েছে রামমন্দির। রাস্তার ধারে প্রদীপ। ২৭০ কিলোমিটার দূরে চিত্রকূটে রাম, সীতা, লক্ষ্মণ, হনুমান ফুটে উঠছে আলোর কারিকুরিতে।

মনোজের ছেলে সোমনাথ এই কাজে সেখানে রয়েছেন। কারিগর, ডেকরেটর, রান্নার লোক মিলিয়ে সঙ্গে গিয়েছেন প্রায় ৭৫ জন। ফোনে সোমনাথ জানান, উত্তরপ্রদেশের পর্যটন বিভাগের তরফে বরাত পেয়েছেন। তিন দিনের উৎসব শুক্রবার শুরু হয়েছে। আলোকসজ্জার ভাবনা রামকেন্দ্রিক। সেজেছে নদীর পাড়। শনিবার মূল উৎসব।

মনোজ বলেন, ‘‘বেশ কয়েক বছর ধনতেরস, দীপাবলিতে ওখানে আলো লাগাচ্ছি। রামমন্দিরের উদ্বোধনে আলো লাগাতে দরপত্র জমা দিয়েছি। চন্দননগরের অনেকেই হয়তো দরপত্র দিয়েছেন। আশা করছি, বরাত পাব।’’ আলোকশিল্পীদের একাংশ মনে করেন, অন্যান্য রাজ্যের ঠিকাদার বরাত পেলেও চন্দননগরের শিল্পীদের সঙ্গে চুক্তি করে এখানকার আলো নিতে পারেন। চন্দননগরের আলো ব্যবসায়ীদের সংগঠনের সহ-সম্পাদক জয়ন্ত দাস বলেন, ‘‘বড় জায়গায় এখানকার আলো গেলে আমাদের শিল্পের জন্য তো খুবই ভাল। তবে ওই অনুষ্ঠানের জন্য কে বা কারা দরপত্র পাঠিয়েছেন, আমার জানা নেই।’’

করোনা-পর্বে চন্দননগরের আলোকশিল্প সমস্যায় পড়েছিল। বহু কারিগর এবং শিল্পীদের অনেকে ছোটখাটো অন্য পেশা বেছে নেন। সেই সময় দু’বছর মুদি দোকান চালিয়েছেন মনোজও। অনেক আলোকশিল্পী জানান, এখন কলকাতায় বিভিন্ন পুজোয় আলোর বাজেট অনেক কমেছে। সেই টাকায় তাঁদের পোষাচ্ছে না। তাঁরা রাজ্যের অন্যত্র বা ভিন্‌ রাজ্যে মন দিচ্ছেন। এতে শিল্পের খারাপ অবস্থা অনেকটা কেটেছে।

দুর্গাপুজোর সময় মনোজ আলো লাগিয়েছেন আসানসোল এবং কোন্নগরে। নিজের শহরে জগদ্ধাত্রী পুজোয় তাঁর আলোয় সাজবে উর্দিবাজার চুনাগলি। সেখানে আলোকসজ্জায় থাকবে পুরীর মন্দিরের গেট। বিসর্জনের শোভাযাত্রায় চমক আলোয় ছৌ নাচ।

আপাতত অযোধ্যা মনোজের লক্ষ লক্ষ এলইডি বাল্বের আলোয় ভাসছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Chandannagar Ram Mandir Uttar Pradesh
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE