প্রতীকী ছবি।
প্রায় সারা দিনই মেঘের আনাগোনা। বিকেলে-সন্ধ্যায় কোথাও কম, কোথাও একটু বেশি বৃষ্টি। পরিস্থিতি বর্ষার মতোই। কিন্তু এটা বর্ষা নয়।
ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’র প্রভাবে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে মৌসুমি বায়ু ঢুকে পড়েছে মঙ্গলবারেই। আজ, বৃহস্পতিবার বা কাল, শুক্রবারের মধ্যে তা ডুয়ার্সে পৌঁছে যাবে। কিন্তু দক্ষিণবঙ্গে বর্ষার কোনও খবর নেই। তবু আকাশের অবস্থা দেখে হাওয়া অফিসে ঘনঘন ফোন যাচ্ছে। প্রশ্ন একটাই। বর্ষা কী তবে পৌঁছে গেল এ তল্লাটেও?
আবহবিদেরা জানাচ্ছেন, ঘূর্ণিঝড় মোরা যে-বিপুল পরিমাণ জলীয় বাষ্প ঢুকিয়ে দিয়েছে, তার জেরেই তৈরি হয়েছে বর্ষাকালীন পরিস্থিতি। কেরল, তামিলনাড়ু, অন্ধ্র, মধ্যপ্রদেশ হয়ে বর্ষা কবে কলকাতায় পৌঁছবে, তা বলার সময় আসেনি। মৌসম ভবনের নির্ঘণ্ট মানলে ৮ জুন বর্ষার দক্ষিণবঙ্গে পৌঁছনোর কথা। কেরল দিয়ে বর্ষার যে-শাখাটি মূল ভূখণ্ডে ঢুকেছে, তার প্রভাবে কর্নাটক, তামিলনাড়ুর একাংশে দিন দুয়েকের মধ্যে বর্ষা পৌঁছতে পারে। উত্তর-পূর্বে মৌসুমি বায়ু সক্রিয় হওয়ায় উত্তরবঙ্গেও দ্রুত ঢুকতে পারে বর্ষা।
রেডার-চিত্র দেখে আবহবিদেরা জানান, এ দিন জলীয় বাষ্পের দাপট মালুম হয়েছে। বেলার দিকে তাপমাত্রা বাড়তেই বজ্রগর্ভ মেঘপুঞ্জ তৈরি হয়েছিল। তা থেকেই বৃষ্টি নেমেছে এখানে-ওখানে। চট্টগ্রামে ঢোকার পরে শক্তি খুইয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে মোরা। তার প্রভাবে ভাল বৃষ্টি হচ্ছে উত্তর-পূর্ব ভারতেও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy