Advertisement
১৭ জুন ২০২৪

১০০ নম্বরের জোড়া কামাল

কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তা বা অসাড়তার অভিযোগ করতে গিয়ে তাদের ইমার্জেন্সি বা জরুরি ফোন নম্বর ‘১০০’-কেও গঞ্জনা দেওয়া হয় হামেশাই। বলা হয়, নামেই জরুরি নম্বর। কোনও কম্মের নয়! ফোন করলে সাড়া দেওয়ার নামই করে না!!

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ জুন ২০১৬ ০৯:৩১
Share: Save:

কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তা বা অসাড়তার অভিযোগ করতে গিয়ে তাদের ইমার্জেন্সি বা জরুরি ফোন নম্বর ‘১০০’-কেও গঞ্জনা দেওয়া হয় হামেশাই। বলা হয়, নামেই জরুরি নম্বর। কোনও কম্মের নয়! ফোন করলে সাড়া দেওয়ার নামই করে না!!

বুধবার কলকাতার স্কুল থেকে পলাতকা দুই ছাত্রীর খোঁজ মিলল কিন্তু সেই ১০০ নম্বরের দৌলতেই। ওই নম্বরে ফোন করতেই সাড়া দিয়ে তৎক্ষণাৎ তৎপর হয়ে ওঠে লালবাজার। দিনের শেষে জোড়া পলাতকার হদিসও পেয়ে যায় তাদের পরিবার। এ দিনই বাসে নিগ্রহের মুখে পড়া এক মহিলা ওই নম্বরে ফোন করায় পুলিশ পত্রপাঠ সক্রিয় হয়ে অভিযুক্তকে শ্রীঘরে পুরতে পেরেছে।

পুলিশ জানায়, সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ ১০০ নম্বরে ফোন আসে একটি মোবাইল নম্বর থেকে। জানানো হয়, আর্য বিদ্যামন্দিরের দশম শ্রেণির দু’টি ছাত্রী স্কুল থেকে বাড়ি ফেরেনি। পুলিশ শিয়ালদহ, দমদম ও হাওড়ার রেল পুলিশের কাছে দুই ছাত্রীর সচিত্র পরিচয়পত্র পাঠায়। শেষ পর্যন্ত দু’জনকে পাওয়া যায় বর্ধমানে। রাতে তাদের রাখা হয় বর্ধমান থানায়।

কী ভাবে বর্ধমানে গেল দুই ছাত্রী?

বর্ধমান থানার খবর, মেয়ে দু’টি কলকাতা থেকে ট্রেনে বর্ধমানে যায়। রিকশায় উঠে বলে, ‘আশ্রমে যাব।’ নীলপুরে ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের কাছে বেশ কিছু ক্ষণ ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায় তাদের। এক বাসিন্দা তাদের রিকশা আটকে জানতে চান, তারা কোথায় যাবে। দুই পলাতকা জানায়, তারা বাড়ি ছেড়ে চলে এসেছে। কোনও হস্টেল বা আশ্রমে থাকতে চায়। ওই ব্যক্তি মেয়ে দু’টিকে স্থানীয় সিনেমা হলের মালিক মধুসূদন দাসের কাছে নিয়ে যান। মধুসূদনবাবু মেয়ে দু’টিকে বাড়িতে নিয়ে যান। পরে তাঁরা ওই বাড়ির পরিচারিকার ফোন থেকে দুই ছাত্রীর এক বন্ধুকে ফোন করেন। সেই বন্ধু ১০০ নম্বরে ফোন পুলিশকে সব জানায়।

লালবাজার ওই পরিচারিকার মোবাইলে ফোন করে বিষয়টি জেনে নেয়। ফোন পর্বের পরে মধুসূদনবাবু খবর দেন বর্ধমান থানায়। মহিলা পুলিশ মেয়ে দু’টিকে থানায় নিয়ে যায়। মধুসূদনবাবু বলেন, ‘‘ওদের দেখেই মনে হয়েছিল, বাড়ি থেকে পালিয়েছে। আবার যাতে না-পালায়, তাই বাড়িতে এনে থানায় খবর দিই। ওরা ঠিকঠাক বাড়ি পৌঁছলেই হল।’’

এ দিনই সন্ধ্যায় চলন্ত বাসে কটূক্তি ও হেনস্থার শিকার হয়ে এক মহিলা ফোন করেন ১০০ নম্বরে। লালবাজার বিষয়টি জানায় নিউ আলিপুর থানায়। পুলিশ ডায়মন্ড হারবার রোডে টাঁকশালের কাছে বাসটিকে আটকায়। অভিযুক্তকে বাস থেকে থানায় নিয়ে গিয়ে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানায়, ধৃতের নাম শিবকুমার পাসোয়ান।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Phone Student
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE