E-Paper

পুরুলিয়া যাওয়ার নয়া মেমু রেক চলতে পারে শহরতলির লোকাল হিসাবে

শুক্রবার বিকেলে হাওড়া থেকে এবং শনিবার সকালে পুরুলিয়া থেকে এই মেমু ট্রেনের পরিষেবা বন্ধ থাকবে। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের টিকিয়াপাড়া কারশেডে মেমু রেকটির রক্ষণাবেক্ষণের কাজ হবে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ জুন ২০২৫ ০৭:৩৩
হাওড়া-মশাগ্রাম-পুরুলিয়া মেমু ট্রেন।

হাওড়া-মশাগ্রাম-পুরুলিয়া মেমু ট্রেন। —ফাইল চিত্র।

হাওড়া-মশাগ্রাম-পুরুলিয়া মেমু ট্রেনের আনুষ্ঠানিক যাত্রী পরিষেবা শুরু হচ্ছে আজ, সোমবার। আট কোচের এই নতুন মেমু রেক বিকেল ৪টে ১৫ মিনিটে হাওড়া থেকে ছেড়ে কর্ড লাইন ধরে মশাগ্রাম হয়ে সেখান থেকে ইন্দাস, পাত্রসায়র, বাঁকুড়া হয়ে রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে পুরুলিয়া পৌঁছবে। আবার, পুরুলিয়া থেকে সরকারি ভাবে ট্রেনটি যাত্রী পরিষেবা শুরু করবে আগামী কাল, মঙ্গলবার। ওই দিন ভোর চারটে নাগাদ ট্রেনটি পুরুলিয়া থেকে ছেড়ে মশাগ্রাম হয়ে বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে হাওড়ায় পৌঁছবে। সপ্তাহে ছ’দিন এই ট্রেনটি চালু থাকবে বলে রেল সূত্রের খবর। তবে, শুক্রবার বিকেলে হাওড়া থেকে এবং শনিবার সকালে পুরুলিয়া থেকে এই মেমু ট্রেনের পরিষেবা বন্ধ থাকবে। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের টিকিয়াপাড়া কারশেডে মেমু রেকটির রক্ষণাবেক্ষণের কাজ হবে।

রেল সূত্রে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, দুপুরের দিকে ঘণ্টা দুয়েক সময় আট কোচের এই মেমু রেকটিকে হাওড়া থেকে শেওড়াফুলির মধ্যে লোকাল ট্রেন হিসাবে এক ট্রিপ চালানো হতে পারে। মূলত হাওড়া স্টেশনে যাত্রীদের ভিড় কমাতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। যাত্রীদের একাংশ অবশ্য রেলের এই সিদ্ধান্তে প্রশ্ন তুলছেন। তাঁদের বক্তব্য, হাওড়া ডিভিশনে দীর্ঘ দিন ধরে ১২ কোচের লোকাল ট্রেন চালু রয়েছে। সেখানে আচমকা আট কোচের লোকাল ট্রেন চালানোর যুক্তি কী? এমন হলে যাত্রীদের একাংশের মধ্যে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। যদিও রেলের দাবি, এই সিদ্ধান্ত বিবেচনা সাপেক্ষ। এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। রেলকর্তাদের একটি অংশ অবশ্য এই সিদ্ধান্তের মধ্যে রেকের কার্যকর ব্যবহারের সম্ভাবনা দেখছেন।

নতুন ট্রেনটি পর্যায়ক্রমে পূর্ব রেল এবং দক্ষিণ-পূর্ব রেলের এলাকা দিয়ে ছুটবে। হাওড়া থেকে মশাগ্রাম পর্যন্ত অংশে যাত্রী পরিষেবা ছাড়াও ট্রেন চলাচলের দায়িত্ব সামলাবে পূর্ব রেল। মশাগ্রাম থেকে বাঁকুড়া হয়ে পুরুলিয়া পর্যন্ত ট্রেন চলাচল এবং যাত্রী পরিষেবার দায়িত্বে থাকছে দক্ষিণ-পূর্ব রেল। নতুন ট্রেনটি বিস্তীর্ণ এলাকার যাত্রীদের কাজে আসবে বলে মনে করছেন রেলকর্তারা।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Indian Railway Indian Railways

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy