E-Paper

বাহিনীর থাকা নিয়ে নাজেহাল পুলিশ-প্রশাসন

নদিয়া জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সেখানে এক-দু’দিনের মধ্যেই বাহিনী আসবে। তবু এ পর্যন্ত বেশির ভাগ থানা এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর থাকার জায়গা ঠিক হয়নি।

সুস্মিত হালদার

শেষ আপডেট: ২৬ জুন ২০২৩ ০৭:১৯
ভোট উপলক্ষে রুট মার্চ করছে কেন্দ্রীয় বাহিনী, নদিয়ার শান্তিপুর।

ভোট উপলক্ষে রুট মার্চ করছে কেন্দ্রীয় বাহিনী, নদিয়ার শান্তিপুর। ছবি: প্রণব দেবনাথ।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রাখা যাবে না কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। নির্বাচন কমিশনের তেমনই নির্দেশ। তাতেই আতান্তরে পড়েছে নদিয়া জেলা পুলিশ-প্রশাসন। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে রাখার উপযুক্ত জায়গা খুঁছতে কালঘাম ছুটেছে কর্তাদের।

এত দিন বিদ্যালয় বা কলেজে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে রাখা হত। নদিয়া জেলা পুলিশ-প্রশাসনের কর্তারা জানাচ্ছেন, দীর্ঘ গরমের ছুটি পেরিয়ে সবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলেছে। পঠনপাঠনে যাতে বিঘ্ন না ঘটে তার জন্য নির্বাচন কমিশন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বাহিনীকে না-রাখতে নির্দেশ দিয়েছে। হাতে পেয়ে কপালে ভাঁজ কর্তাদের।

নদিয়া জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সেখানে এক-দু’দিনের মধ্যেই বাহিনী আসবে। তবু এ পর্যন্ত বেশির ভাগ থানা এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর থাকার জায়গা ঠিক হয়নি। বিভিন্ন অনুষ্ঠান বাড়িতে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে রাখার কথা বলা হয়েছে। এ দিকে, সব জায়গায় অনুষ্ঠান বাড়ি নেই। থাকলেও আকারে ছোট। আবার ঠিক কত জওয়ান আসবেন তা স্পষ্ট নয়। আতান্তরে থানা ও ব্লক প্রশাসন।

নদিয়া জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, খোঁজ নেওয়া হচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অতিরিক্ত ভবন আছে কি না। সূত্রে খবর, চাপড়া থানার পক্ষ থেকে একটি মাদ্রাসার সঙ্গে কথাবার্তা বলা হচ্ছে। ওই মাদ্রাসা চত্বরের বাইরে একটি অতিরিক্ত ভবন আছে। যেখানে ক্লাস হয় না। সেটি ‘সবুজ সাথী’ প্রকল্পের সাইকেলের গুদাম হিসাবে ব্যবহার করা হয়। আবার ধুবুলিয়া থানার এলাকার একটি বিদ্যালয়ের সঙ্গে কথা বলছে যাদের বিদ্যালয় চত্বরের বাইরে একটি ভবন তৈরি হচ্ছে। সেই নির্মীয়মাণ ভবনে জল ও বিদ্যুতের ব্যবস্থা করে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে রাখার কথা ভাবা হচ্ছে। আবার উপযুক্ত জায়গার অভাবে মাজদিয়া সুধীরঞ্জন লাহিড়ী কলেজে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে রাখার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এই কলেজে অবশ্য গণনা কেন্দ্র হচ্ছে। ফলে কলেজের অতিরিক্ত ঘরে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে রাখার ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হবে না বলেই দাবি পুলিশের। হাঁসখালি থানা এলাকায় তিনটি বিদ্যালয়ের কথা ভাবলেও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। কম বেশি প্রায় একই অবস্থা অন্যান্য থানার ক্ষেত্রেও।

কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার সুপার ঈশানী পাল বলেন, “দেখতে হবে যাতে বিদ্যালয়ের পঠনপাঠনের কোনও সমস্যা না হয়। সেটা আগে নিশ্চিত করে তবেই আমরা কেন্দ্রীয় বাহিনীর থাকার মতো ব্যবস্থা করছি।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

WB Panchayat Election 2023 West Bengal Panchayat Election 2023 central force

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy