আগামী বছর পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে হবে শেষ পূর্ণাঙ্গ শীতকালীন অধিবেশন। সেই অধিবেশনে শুরু হতে পারে চলতি নভেম্বর মাসেই। পরিষদীয় দল সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ পেলেই তারা স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে অধিবেশন ডাকার জন্য আবেদন জানাবে। সব ঠিকঠাক চললে নভেম্ভর মাসের দ্বিতীয় কিংবা তৃতীয় সপ্তাহে এই শীতকালীন অধিবেশন বসবে।
আর কয়েক মাস পর বিধানসভার নির্বাচন। তার আগে রাজ্য সরকারের প্রয়োজনীয় কিছু বিল পাশ করানো হতে পারে। হতে পারে বেশকিছু প্রস্তাব নিয়ে আলোচনাও। বিশেষ করে ভারত ভুটান নদী কমিশন তৈরি নিয়ে কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে ফের প্রস্তাব আনা হতে পারে। কারণ, পুজোর পরেই ভুটান থেকে মেঘভাঙা বৃষ্টিতে ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, হয়েছে প্রাণহানিও। তাই তৃণমূল পরিষদীয় দলের একাংশ মনে করছে, উত্তরবঙ্গের বিপর্যয়ের পর মোদী সরকারকে দায়ী করে আবারও আক্রমণ শানাতে বিধানসভায় প্রস্তাব আনা হতে পারে।
তবে পাল্টা তৈরি হচ্ছে বিরোধী পরিষদীয় দল বিজেপি-ও। পুজোর পরেই দুর্গাপুরে ওড়িশার বাসিন্দা যুবতী ডাক্তারি পড়ুয়ার ধর্ষণের ঘটনাটি নিয়ে পাল্টা শাসকদলকে আক্রমণ করতে চায় তারা। তাই ভোটের আগে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার শেষ শীতকালীন অধিবেশন আগাম উত্তাপের ইঙ্গিত দিয়েছে। এমনিতেই গত পাঁচ বছরে বার বার তৃণমূল-বিজেপি বিধায়কদের তর্কযুদ্ধের কারণে সংবাদের শিরোনামে এসেছে। গত সেপ্টেম্বর মাসের বিশেষ অধিবেশনে উত্তাপ এমন জায়গায় পৌঁছেছিল যে, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপি পরিষদীয় দলের মুখ্যসচেতক শঙ্কর ঘোষ-সহ পাঁচ জন বিধায়ককে সাসপেন্ড করেছিলেন স্পিকার।