E-Paper

স্ত্রীকে খুন করার অভিযোগে আগে জেলেও যেতে হয়েছে, কুকীর্তির তালিকা বেশ দীর্ঘ ছিল নিহত শুকচাঁদের

গ্রামবাসীর দাবি, বছর কুড়ি আগে প্রথম পক্ষের স্ত্রীকে মারধর করে খুন করার অভিযোগ ওঠে শুকচাঁদের বিরুদ্ধে। তখন পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। তিন মাস হাজতবাস হয়েছিল তার।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০২৪ ০৯:২৫
পটাশপুরে ‘ধর্ষিতা’র মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর মারধর ‘অভিযুক্তকে’।

পটাশপুরে ‘ধর্ষিতা’র মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর মারধর ‘অভিযুক্তকে’। —নিজস্ব চিত্র।

ধর্ষণে বাধা পেয়ে এক মহিলার মুখে কীটনাশক ঢেলে খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত শুকচাঁদ মাইতিকে পিটিয়ে মেরেছে জনতা। এ হেন শুকচাঁদের অতীত কুকীর্তির তালিকা অতি দীর্ঘ।

গ্রামবাসীর দাবি, বছর কুড়ি আগে প্রথম পক্ষের স্ত্রীকে মারধর করে খুন করার অভিযোগ ওঠে শুকচাঁদের বিরুদ্ধে। তখন পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। তিন মাস হাজতবাস হয়েছিল তার। কিন্তু ছাড়া পেয়ে যায় প্রমাণের অভাবে। জেল থেকে বেরিয়ে আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে বলে অভিযোগ। পরে শ্যালিকাকে বিয়ে করে, কিন্তু চরিত্র বদলায়নি। গ্রামের মেয়েদের প্রতি অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি ও মন্তব্যের অভিযোগ বার বার উঠেছে তার বিরুদ্ধে। লিপ্ত ছিল একাধিক পরকীয়া সম্পর্কে। ধর্ষণের অভিযোগও তার বিরুদ্ধে আগে উঠেছে বলে দাবি।

আগে শুকচাঁদ কংগ্রেস করত। তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পরে দল বদলে শাসক দলে নাম লেখায় সে। এলাকায় হয়ে ওঠে ‘বাহুবলী’। গত লোকসভা ভোটের আগে বুথ কমিটি থেকে শুকচাঁদকে সরিয়ে দেয় তৃণমূল। তা সত্ত্বেও খুনের ঘটনার পরে রবিবার উত্তেজিত জনতা তৃণমূলের ফেস্টুন ছিঁড়েছে। তাদের দাবি, দল তাড়ালেও স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে তলে তলে সম্পর্ক ছিল শুকচাঁদের। সেই সুবাদে যথেষ্ট দাপটও ছিল। বাড়ির সামনে চা-বিস্কুটের দোকান ছিল শুকচাঁদের। ছিল মাছের ভেড়ি। ছেলেরা তার সঙ্গে থাকতেন না। নিজের ভেড়ির পাশে কৃষকদের চাষে বাধা দেওয়া ও হুমকির অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Patashpur

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy