কারখানার গেটে জমায়েত। শুক্রবার সকালে তোলা নিজস্ব চিত্র।
বিলগ্নিকরণ চলবে না, যোগ্য আধিকারিক নিয়োগ করে সরকারি পরিচালনাতেই চালাতে হবে ‘দুর্গাপুর কেমিক্যালস লিমিটেড’ (ডিসিএল) কারখানা।— শুক্রবার সকালে এই দাবিতে কারখানা গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন শ্রমিক-কর্মী ও তাঁদের পরিবারের লোকজন।
এ দিন বিক্ষোভকারীরা দাবি করতে থাকেন, কর্তৃপক্ষের অদূরদর্শিতার কারণেই কারখানার এই হাল। শ্রমিকদের দাবি, উপযুক্ত আধিকারিক নিয়োগ করে সরকারি ভাবেই কারখানাটি চালানো হোক। এ দিন সকালে কারখানার আধিকারিকদের গাড়ির সামনে শুয়ে পড়ে বিক্ষোভ দেখান শ্রমিক-কর্মীরা। পরে অবশ্য পরিস্থিতির সামাল দেন পুলিশকর্মীরা। সরকারি ভাবে কারখানা চালানোর দাবিতে বিকেলে কারখানার গেট থেকে মিছিল বের করে সিটু।
১৯৬৩ সালে এই কারখানাটি তৈরি হয়। ফেনল, কস্টিক সোডা, ক্লোরিন, বেঞ্জিন-সহ বেশ কিছু রাসায়নিক সামগ্রী ও তাদের উপজাত সামগ্রী এখানে উৎপাদন করা হতো। কিন্তু কয়েক বছরের মধ্যেই লোকসান হতে শুরু করে কারখানায়। কারখানা সূত্রে জানা গিয়েছে, ৩১ মার্চ পর্যন্ত ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় ১৭৮ কোটি টাকারও বেশি। দেনাও রয়েছে বেশ কয়েক কোটি।
বিক্ষোভে যোগ না দিলেও কারখানা চত্বরে হাজির ছিলেন তৃণমূলের কাউন্সিলর অরবিন্দ নন্দী। তাঁর দাবি, ‘‘কারখানা সরকারি উদ্যোগেই চলুক। বিলগ্নিকরণ হলে শ্রমিক-কর্মীদের কী হাল হবে, তা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে।’’ কারখানায় বর্তমানে স্থায়ী কর্মীর সংখ্যা প্রায় আড়়াইশো জন। ২০০৪ সালের পরে স্থায়ী কর্মীও নিয়োগ হয়নি। সিটুর জেলা সভাপতি বিনয়েন্দ্রকিশোর চক্রবর্তীর দাবি, সরকারি উদ্যোগে কী ভাবে কারখানাকে লাভজনক করা হবে, সে প্রস্তাব তাঁদের কাছে রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy