—প্রতীকী ছবি।
কনস্টেবল পদে নিয়োগ দ্রুত করতে চাইছেন রাজ্য পুলিশের কর্তারা।
এর জন্য প্রাথমিক এবং মূল লিখিত পরীক্ষার বদলে একটিই লিখিত পরীক্ষা করতে গত মাসে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে নবান্নে। সূত্রের খবর, কনস্টেবল পদে ১২ হাজার নিয়োগ হবে, ছাড়পত্র মিলেছে মন্ত্রিসভার। তা দ্রুত শেষ করতে দু’টির বদলে একটি পরীক্ষা করতে চাইছেন পুলিশকর্তারা।
নবান্ন সূত্রের খবর, বর্তমানে কনস্টেবল নিয়োগে প্রথমে প্রাথমিক লিখিত পরীক্ষা হয়। তার পরে শারীরিক মাপজোক এবং দক্ষতা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে মূল লিখিত পরীক্ষা। তাতে পাশ করলে মৌখিক পরীক্ষা। এক সরকারি কর্তা জানান, পুরো প্রক্রিয়া, প্রশিক্ষণ পর্ব শেষ করতে কমপক্ষে ছ’মাসের বেশি সময় লাগছে। ওই সময় কমাতেই একটি লিখিত পরীক্ষা করার প্রস্তাব।
নিয়োগ পরীক্ষার শেষে কনফার্ম তালিকার সঙ্গে একটি রিজার্ভ (অতিরিক্ত) তালিকা রাখার কথাও বলা হয়েছে প্রস্তাবে। সূত্রের খবর, গত বছর প্রায় সাড়ে আট হাজার কনস্টেবল নিয়োগ হয়েছিলেন রাজ্য পুলিশে। সব প্রক্রিয়া শেষ করে প্রশিক্ষণের সময়ে দেখা গিয়েছিল উত্তীর্ণ তালিকার বেশ কয়েক জন তাতে যোগদান করেননি। ফলে ওই আসন ফাঁকা রেখেই প্রশিক্ষণ শুরু হয়। পুলিশের একাংশের দাবি, তা এড়াতেই ওই রিজ়ার্ভ তালিকা তৈরি করা হবে। প্রশিক্ষণের সময়ে উত্তীর্ণ তালিকা থেকে কেউ যোগ না দিলে রির্জাভ তালিকা থেকে সেই শূন্যস্থান পূরণ করা হবে। তবে ওই তালিকা কোনও ভাবেই অপেক্ষামাণ তালিকা বলে গণ্য হবে না। প্রশিক্ষণ শুরু হয়ে গেলে ওই রিজ়ার্ভ তালিকার কোনও অস্তিত্ব থাকবে না বলেও নবান্নে পাঠানো প্রস্তাবে বলা হয়েছে।
নবান্নের বিচারাধীন ওই প্রস্তাবে ওই ১২ হাজার পদের মধ্যে ১৫ শতাংশ পদ সিভিক ভলান্টিয়ারদের জন্য সংরক্ষিত রাখা হয়েছে। আগে ছিল ১০ শতাংশ। প্রস্তাবে প্রাক্তন সেনাকর্মীদের জন্য পাঁচ শতাংশ সংরক্ষণ রেখে তাঁদের বয়স এবং শারীরিক দক্ষতায় ছাড় দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy