বিমানবন্দরের পর এ বার রাজ্যের সরকারি হাসপাতালেও থার্মাল স্ক্যানিং শুরু হল। শুক্রবার সকাল থেকেই আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজে যাঁরা আসছেন, তাঁদের থার্মাল স্ক্যানিংয়ের মাধ্যমে শারীরিক পরীক্ষা করা হচ্ছে। রোগী থেকে শুরু করে তাঁদের পরিবারের লোকজন— যাঁরাই ডেন্টাল কলেজের ভিতরে প্রবেশ করছেন, তাঁদের থার্মাল স্ক্যানিং করা হচ্ছে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।
কেন থার্মাল স্ক্যানিং? কারও শরীরের উত্তাপ ‘বিপদসীমা’ ছাড়িয়েছে কি না, তা থার্মাল স্ক্যানিংয়ের মাধ্যমে বুঝে নেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। তবে কেউ করোনভাইরাসে আক্রান্ত হলে, স্ক্যানিংয়ের মাধ্যমে সেই সময় ধরা পড়তে না-ও পারে। যেমনটা হয়েছে, কলকাতার বাসিন্দা দু’জনের করোনাভাইরাসে আক্রান্তের ক্ষেত্রেও। তাঁদের যখন বিমানবন্দরে থার্মাল স্ক্যানিং হয়েছিল, তখন কিছুই বোঝা যায়নি। পরে তাঁদের লালারস পরীক্ষায় কোভিড-১৯ ভাইরাস পজিটিভ আসে। তবে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে থার্মাল স্ক্যানিং কার্যকর বলে মনে করেন চিকিৎসকেরা।
শুধু ডেন্টাল কলেজেই নয়, এনআরএস, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ-সহ কলকাতার প্রায় সব সরকারি হাসপাতালেই থার্মাল স্ক্যানিং করা হবে বলে জানা গিয়েছে। সরকারি হাসপাতালগুলিতে সাধারণত ভিড় বেশি থাকে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতেই বিমানবন্দরের মতোই থার্মাল স্ক্যানিং-এর পাশাপাশি সচেতনতা প্রচারও চলছে হাসপাতাল জুড়ে।
আরও পড়ুন: করোনায় চতুর্থ মৃত্যু দেশে, প্রায় তালাবন্ধ পঞ্জাব
আরও পড়ুন: কলকাতায় দ্বিতীয় করোনা আক্রান্তের হদিশ, লন্ডনফেরত তরুণের শরীরে কোভিড-১৯