অ্যাডমিট কার্ডে সাঁটা ছবি এবং খাতায় নামের সই দেখে খটকা লেগেছিল! চেহারার সঙ্গে ছবির কোথায় যেন অমিল। সইও কিছুটা আলাদা। সন্দেহ দূর করার জন্যে ঘুরিয়েফিরিয়ে কয়েকটি বিভিন্ন প্রশ্ন করতেই পর্দা ফাঁস!
জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাজ্যের বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে এ ভাবেই অন্তত ১৩ জন ভুয়ো পরীক্ষার্থীকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন পরিদর্শকেরা। জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি ও কলকাতার বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্রের ওই পরীক্ষার্থীদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এ ছাড়াও নকল করায় পাঁচ পরীক্ষার্থীর খাতা বাতিল করা হয়েছে বোর্ড।
মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, অসমের ৩০০টি কেন্দ্রে জয়েন্ট এন্ট্রান্স শুরু হয়েছে। এ দিন প্রাণিবিদ্যার পরীক্ষা ছিল। আজ, বুধবার গণিত, পদার্থবিদ্যা ও রসায়নের পরীক্ষা। এই পরীক্ষায় মোবাইলের সাহায্যে নকল রুখতে ‘জ্যামার’ বসিয়েছে বোর্ড।
বোর্ড জানায়, পরীক্ষার্থীদের ছবি, সই ও নথি পরীক্ষা করতে গিয়ে পরিদর্শকেরা সন্দেহভাজন কয়েক জনকে চিহ্নিত করেন। তাদের ডেকে কয়েকটি প্রশ্ন করা হয়। কোন স্কুল থেকে মাধ্যমিক পাশ করেছে বা কোন পরীক্ষায় কত নম্বর পেয়েছে ইত্যাদি প্রশ্ন করতেই গোলমাল ধরা পড়ে। ওই ভুয়ো পরীক্ষার্থীরা রাজস্থান ও দিল্লি থেকে এসেছিল।
২০০৭ সালেও ভুয়ো পরীক্ষার্থীর একটি চক্রের হদিস পেয়েছিল লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগ। গোয়েন্দারা জানিয়েছিলেন, ধরা পড়া পরীক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষিত। সে-বার জানা গিয়েছিল, মোটা টাকার বিনিময়ে ওই চক্র ভুয়ো পরীক্ষার্থী সরবরাহ করে। ওই বছরে জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তদন্ত চালিয়ে সেই চক্রের কয়েক জনকে গ্রেফতার করেছিল লালবাজার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy